শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে হয়রানি বন্ধের দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের

Sanchoy Biswas
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:২২ অপরাহ্ন, ২৬ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ৩:১৯ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

শ্রমিকদের ন্যায্য বেতন-ভাতা পরিশোধে টালবাহানা ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সংগঠনটি বলছে, শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলেও তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

আজ এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, শ্রমিকরা দেশের শিল্প, কৃষি, গার্মেন্টস, নির্মাণ ও পরিবহনসহ বিভিন্ন খাতে নিরলস পরিশ্রম করছেন। অথচ প্রতি বছরই দেখা যায়, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে, সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে না। এমনকি ন্যায্য পাওনা চাওয়ায় অনেক শ্রমিক দমন-পীড়নের শিকার হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা নয়, আসাদুজ্জামান খান কামালকে দিয়েই শুরু হবে প্রত্যর্পণ

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘শ্রমিক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। শ্রমিকের অধিকার আদায়ই রাষ্ট্রের উন্নতির পথ। অথচ যাদের ঘামে-রক্তে দেশের অর্থনীতি টিকে আছে, তারাই বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি চরম দ্বিচারিতা।’

সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ টেনে তারা বলেন, রাষ্ট্র যদি শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে না পারে, তবে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্রমিকদের জীবন চলে না, তাদের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন করতে হবে। তারা আরও বলেন, ‘এটি শুধু শ্রমিকদের সমস্যা নয়, এটি জাতীয় সংকট। যদি শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় চলতেই থাকে, তবে জনগণ আর চুপ থাকবে না।’

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়: মির্জা ফখরুল

নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ করা শুধু অর্থনৈতিক ইস্যু নয়, এটি ন্যায়বিচারেরও প্রশ্ন। শ্রমিকরা কারও দয়া চায় না, তারা তাদের প্রাপ্য অধিকার চায়। তাদের ন্যায্য অধিকার না দিলে সারাদেশে শ্রমিক আন্দোলন আরও বেগবান হবে, আর এর দায় মালিকপক্ষ ও রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন শ্রমিকদের পাশে আছে এবং প্রয়োজনে আরও বড় আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানান তারা।