৮৪ সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য, রোববার ফের বৈঠক
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অবশেষে সাত দফা অঙ্গীকারনামার ভিত্তিতে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে। বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এই চূড়ান্ত খসড়া পাঠানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হয়েছে।
চূড়ান্ত খসড়ায় বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৭ দফা অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, সনদের বৈধতা নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল আদালতে প্রশ্ন তুলবে না।
আরও পড়ুন: নিজ ঘরের সুরঙ্গে লুকিয়েও রক্ষা পেল না যুবলীগ নেতা
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য দুজন প্রতিনিধির নাম পাঠাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
চূড়ান্ত সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চারটি পথের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে—গণভোট, অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ। কমিশন জানিয়েছে, সংবিধান-সংশ্লিষ্ট নয় এমন সুপারিশগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ বা প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে পারবে।
আরও পড়ুন: গণভোট না হলে নির্বাচন হবে ২০২৯ সালে: হামিদুর রহমান আযাদ
বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি অংশ নেন। আগামী রোববার ফের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন।
এদিকে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন কেবল সাধারণ ভোট নয়, এটি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। তাই নির্বাচনের আগে সংস্কার চূড়ান্ত করতেই হবে।





