রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সম্মানী ভাতা চালুর ঘোষণা: তারেক রহমান

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১০ অপরাহ্ন, ২৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:০১ অপরাহ্ন, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের জন্য মাসিক সম্মানী ভাতা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত সম্মিলিত ইমাম-খতিব জাতীয় সম্মেলন–এ ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তারেক রহমান বলেন, ইমাম–খতিব–মুয়াজ্জিনরা সমাজে নৈতিক ও আত্মিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাই আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা ধর্মীয় দায়িত্ব পালনকারীদের রাষ্ট্রীয় সম্মানী দেওয়া হবে পর্যায়ক্রমে, যদি বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে সরকার গঠনের সুযোগ পায়। একইসঙ্গে ইমাম–মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট শক্তিশালী করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

আরও পড়ুন: কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিএনপির হেলথ ক্যাম্পে ১২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা

তারেক রহমান জানান, ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থরক্ষায় বিএনপি বরাবরই অবিচল। তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন সরকার সংবিধান থেকে “সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও আস্থা” বাক্যটির অবস্থান পরিবর্তন করেছে।

তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হলে সমাজে বিভেদ সৃষ্টি হয়, যা রোধে আলেম-ওলামাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন আন্দোলনেরই অংশ: নজরুল ইসলাম খান

সম্মেলনে উপস্থাপিত দাবির মধ্যে ইমাম–মুয়াজ্জিনদের জন্য সার্ভিস রুল প্রণয়নকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেন তিনি। অনেক জায়গায় ইমামদের চাকরি ব্যক্তিগত পছন্দ–অপছন্দের ওপর নির্ভর করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এই নীতিমালা প্রণয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

তারেক রহমান জানান, দেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদ এবং ৫০ হাজারের বেশি মাদরাসা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় উন্নয়নচক্রে অন্তর্ভুক্ত না করলে স্থায়ী অগ্রগতি সম্ভব নয়।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৯৩ সালে বিএনপি সরকারের সময় মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, যা এখনো চলছে।

রাষ্ট্র পরিচালনায় ন্যায়পরায়ণতাকে বিএনপির মূলমন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “মহানবীর আদর্শে উজ্জীবিত ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে ইমাম–খতিব ও আলেম-ওলামাদের দোয়া ও সমর্থন প্রয়োজন।”