আগামী নির্বাচন আন্দোলনেরই অংশ: নজরুল ইসলাম খান

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ন, ২৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৪:৩৪ অপরাহ্ন, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন তাদের চলমান আন্দোলনেরই একটি অংশ। তিনি বলেন, “নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র হয় না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন।”

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের উদ্যোগে আয়োজিত ডা. শামসুল আলম খানের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিএনপির হেলথ ক্যাম্পে ১২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা

নজরুল ইসলাম খান বলেন, “আগামী নির্বাচনের বিজয়ের মাধ্যমে যদি আল্লাহর মেহেরবানিতে আমরা দায়িত্ব পাই, তাহলে জনগণের কল্যাণের জন্য আমাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করব।”

তিনি নির্বাচনকে ঘিরে সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে বলেন, “যারা অংশ নিচ্ছে তাদের মধ্যে আরেকটি দল—জামায়াতে ইসলামী, যারা আমাদের সঙ্গে সরকারে ছিল। অথচ সমালোচনার সময় এমন আচরণ করে যেন তারা কোনোদিন সরকারে ছিল না। অথচ তাদের দুজন মন্ত্রীসভার সদস্য ছিল।”

আরও পড়ুন: সিসিইউতে খালেদা জিয়া

সভায় উপস্থিত ছাত্রনেতারা জানান, এর আগে সকালেই ঢাকা মেডিকেল কলেজে শহীদ মিলনের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন তৎকালীন ডাকসুর ভিপি আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের প্রতিনিধিরা।

আলোচনা সভায় ১৯৮৬ সালের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন যখন তুঙ্গে, তখন আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামী জাতির সঙ্গে বেঈমানি করে এরশাদের নির্বাচনে অংশ নেয়। স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর নামে তারা প্রথমবার ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৭৯ সালে জামায়াতে ইসলামী নামে কোনো দল নির্বাচনে যায়নি। ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামে অন্য একটি দল অংশ নেয়, যেখানে জামায়াতের লোক ছিল। কিন্তু জামায়াত নিজস্ব ব্যানারে নির্বাচন করেনি।”

নজরুল ইসলাম খানের দাবি, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত অংশ নেওয়ায় এরশাদের সামরিক শাসন বৈধতা পায় এবং জাতীয়করণ অধ্যাদেশ বাতিল হয়। তিনি বলেন, “যদি তারা নির্বাচনে অংশ না নিত, তাহলে ওই সংসদ গঠিত হতো না এবং ১৯৮৬ সালেই এরশাদের পতন ঘটত।”

তিনি অভিযোগ করেন, “যারা এরশাদের ক্ষমতার জীবন বাড়িয়ে দিয়েছে, তারা তার বিনিময়ে মূল্যও পেয়েছে।”