‘আলেম-ওলামারাই পারেন মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মনোনীত ঢাকা-১১ আসনের প্রার্থী, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. এম এ কাইয়ুম বলেছেন, দেশের আলেমরাই পারেন মানুষের মাঝে আল্লাহ ভীতি তৈরি করে তাদেরকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে। কোরআন ও সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ দেশে করা হবে না বলেও আলেম-ওলামাদের আশ্বস্ত করেন তিনি। সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ভাটারা থানাধীন সকল মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানার সম্মানিত খতিব, ইমাম সাহেব ও আলেম ওলামাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বিএনপির হেলথ ক্যাম্পে ১২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল ইসলাম বিদ্বেষী উল্লেখ করে ঢাকা ১১ আসনের মাটি ও মানুষের নেতা ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, ইসলামের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বিগত বছরগুলোতে আলেম-ওলামারা নানা ধরনের হত্যা-গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে আলেমদের দমাতে গিয়ে রাজপথ রক্তে রঞ্জিত করা হয়। সেই রক্তের ঋণ এখনো শোধ হয়নি।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন আন্দোলনেরই অংশ: নজরুল ইসলাম খান
তিনি বলেন, আমরা ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি দল। আমরা বাংলাদেশকে একটি মডারেট ইসলামিক দেশ বানাতে চাই। মুসলিম ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা চালু করতে পারি তাহলে আমাদের সমাজের মধ্যে যে জুলুম-নির্যাতন, মাদক ও অন্যায় অত্যাচার আছে তা অনেকাংশে কমে যাবে।
তিনি বলেন, আইন করে সবকিছুর সমাধান করা যায় না। আইনের ফাঁকে বা আইনকে গোপন করে অনেক অন্যায় করা যায়। অন্যের হক মেরে খাওয়া আমাদের সমাজে প্রচলিত হয়েছে গেছে। কিন্তু আমাদের এই আলেম ওলামারা যদি এই শিক্ষা দেন যে গোপনে অন্যায় করে আল্লাহ কাছ থেকে পার পাবে না। মৃত্যুর পর এটার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এভাবে আল্লাহ ভীতি সৃষ্টি করা হলে সমাজ থেকে অন্যায়-অত্যাচার, জুলুম নির্যাতন কমে আসবে।
তিনি বলেন, আপনি যতবড় মন্ত্রী হন, এমপি হন আপনাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। সমাজে থেকে অন্যায় করে আপনি পার পেলেও মৃত্যুপর আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে। আমরা কেউই জবাবদিহির উর্দ্ধে নই।
আলেম-ওলামাদের উদেশ্যে ড. এম এ কাইয়ুম বলেন, আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে আপনাদের অবদান অনস্বীকার্য। সামাজিক অবক্ষয় রোধে কুরআন হাদিসের শিক্ষার বিকল্প নেই। সামাজিক অপরাধ দমনে মুসলমানদের কুরআন-হাদিসের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের সমাজে যে চিত্র চোখে পড়ে, তা খুবই উদ্বেগজনক। মানুষ স্বার্থপর, ভোগবাদী ও দায়িত্বহীন হয়ে পড়ছে। পারিবারিক বন্ধন দুর্বল হয়ে পড়েছে, নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ মিথ্যা বলাকে কৌশল হিসেবে গ্রহণ করছে, সুদ-ঘুষকে ব্যবসা মনে করছে, আর অশ্লীলতাকে সংস্কৃতি বলে প্রচার করছে। এই সামাজিক অবক্ষয় আমাদের পারিবারিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। যা থেকে উত্তরণের জন্য দেশের আলেম-ওলামাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জনান।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব আতাউর রহমান চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় খতিব, ইমাম সাহেব ও আলেম ওলামাগণ বক্তব্য রাখেন।





