তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করার সুযোগ নেই : জামায়েতের আমির

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৪১ পূর্বাহ্ন, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৩০ পূর্বাহ্ন, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামির আমির ডা. শফিকুর রহমান বর্তমানে লন্ডন সফরে রয়েছেন। তবে সেখানে বসবাসরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার লন্ডনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবা‌বে ডা. শফিকুর রহমান ব‌লেন, তি‌নি মাত্র এক‌ দি‌নের জন‌্য এবার লন্ড‌নে গেছেন।

সময় থাক‌লে দেখা তারেক রহমানের সঙ্গে কর‌তেন কি না, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে‌হেতু সু‌যোগ নেই (দেখা করার), তাই তিনি এ প্রশ্নের উত্তর দি‌চ্ছেন না। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঠিক সম‌য়েই হ‌বে, পেছা‌নোর কোনো সু‌যোগ নেই। আমাদের চিন্তা হচ্ছে অন্ততপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য আমাদের একটি জাতীয় সরকার হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: লন্ডনের পথে ডা. জোবাইদা রহমান

ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের ইন্দো-প্যাসিফিক বিষয়ক সংসদীয় আন্ডার-সেক্রেটারি অব স্টেট সীমা মালহোত্রার আমন্ত্রণে তিনি এক দিনের সফরে লন্ডনে যান। লন্ডনে নির্ধারিত কার্যক্রম শেষে তিনি সৌদি আরবে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে যাবেন বলে জানা গেছে। ২১ ডিসেম্বর তার দেশে ফেরার কথা।

লন্ডনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নির্বাচন নিয়ে ডা. শফিকুর বলেন, নির্বা‍চন হবে, নির্বা‍চনের পরে যদি আমরা বিরোধী দলে বসি, সরকারি দলে যারা যাবে তাদের সংগত সব ব্যাপারে আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করবে, তাদের চাইতে হবে না। আমাদের যদি জনগণ তাদের ভালোবাসা দিয়ে নির্বাচিত করেন, আমরা বলেছি আমরা ভিন্ন চিন্তা করছি। পাঁচ বছরের জন্য জাতীয় সরকারের ভাবনা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের চিন্তা হচ্ছে অন্ততপক্ষে পাঁচ বছরের জন্য আমাদের একটি জাতীয় সরকার হওয়া উচিত। নিবা‍র্চনে যারাই অংশগ্রহণ করবেন সকল স্টেকহোল্ডারদের আহ্বান জানাবে। তবে শর্ত দুটো, তা মানতেই হবে, প্রথমত তারা নিজেরা দুর্নীতি করবেন না এবং দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না। ২ নম্বর শর্ত হচ্ছে বিচার সবার জন্য এবং এখানে কেউ রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না। এই শর্ত যারা মানবেন তাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাব।

আরও পড়ুন: দেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: জামায়াত আমির

বৃহস্পতিবার সীমা মালহোত্রার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে শফিকুর রহমান বলেন, আগামীতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রের মজবুত ভিত্তি পাওয়া, আইনের শাসন এবং সুবিচার সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া, দেশকে দুর্নী‍তিমুক্ত করা, পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানো এবং এর পাশাপাশি আঞ্চলিক এবং দেশের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক বিষয়ই আমরা আলোচনা করেছি, তিনি খুবই আন্তরিক ছিলেন এবং তাদের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বা‍চনের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন, তোমাদের জাতি এখন একটা পরিবর্তন চায়।

শফিকুর রহমান বলেন, এর মানে হচ্ছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের মতোই আমাদের ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ও বন্ধুরাও আশা করে বাংলাদেশে একটা পরিবর্তন খুবই প্রয়োজনীয়। আন্ডার-সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকের পর পূর্ব লন্ডনের একটি হলে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে মিলিত হন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সেখানে তিনি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফেরাত ও পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন। এছাড়া জুলাই বিপ্লবীদের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরাকরের কাছে দাবি জানান। হাদির হত্যাকারীর পালিয়ে যাওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে শফিকুর রহমান বলেন, সবাই বলে ভারত আমাদের বন্ধু দেশ। আমরাও চাই বন্ধু হিসেবে ভারত তাদের দায়িত্ব পালন করুক। ভারতের উচিত হবে বাংলাদেশের চিহ্নিত, পলাতক, সাজাপ্রাপ্ত যতগুলো মানুষ আছে, সবগুলোকে সসম্মানে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়া। এটাই হবে বন্ধুত্বের কাজ।