ইসির কাছে নিরাপত্তা চাইলেন কিশোরগঞ্জ ও বরিশালের দুই সম্ভাব্য প্রার্থী

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:২৭ পূর্বাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:২৭ পূর্বাহ্ন, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের পাশাপাশি দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন দুই সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী। তারা হলেন— কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা এবং বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ–মুলাদী) আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে গিয়ে তারা পৃথকভাবে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেন।

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবেন : ডা. জাহিদ হোসেন

কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী রেহা কবির সিগমা প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনসহ নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার আবেদন পেশ করেন।

আবেদনে সিগমা উল্লেখ করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার পর তিনি এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন এবং এতে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তার নির্বাচনী প্রচারণায় অসংখ্য কর্মী সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছেন। তবে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই আইনসম্মত কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি এবং ভীতির পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার পুলিশ অনাকাঙ্ক্ষিত ও প্রশ্নবিদ্ধ তৎপরতা চালাচ্ছে।

আরও পড়ুন: ‘যারা আমার বোনের জীবন তছনছ করে দিয়েছে, তাদের জীবন শান্তিতে কাটাতে দেব না’

তিনি জানান, ১৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক একটার দিকে তার এক কর্মীকে আটক করে ভুয়া মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। এতে কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং তার নির্বাচনী কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

গ্রেপ্তার হওয়া কর্মী মো. কিয়ামত আলী (৫০) একজন নিরীহ ও এলাকায় পরিচিত ব্যক্তি দাবি করে সিগমা বলেন, তার বিরুদ্ধে আগে কোনো মামলা ছিল না। ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর দায়ের করা একটি মামলায় তাকে আসামি করা হলেও তিনি এজাহারভুক্ত নন। থানার কাছেই বসবাস করলেও দীর্ঘ সময় ধরে পুলিশ কখনো তাকে খুঁজেনি। এসব ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভীতি সৃষ্টির ইঙ্গিত পাওয়া যায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

সিগমা নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত, দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পুলিশি হয়রানির কারণে আমি ও আমার কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি।

এদিকে, একই দিন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকি ও সংশ্লিষ্ট উদ্বেগের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরেন।