জামায়াতের সঙ্গে জোট করলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য দিতে হবে: সামান্তা শারমিন
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট বা আসন সমঝোতা করলে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) কঠিন মূল্য চুকাতে হবে বলে সতর্ক করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গত কয়েক দিন ধরে এনসিপির সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য জোট নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ও সমালোচনা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার এনসিপির ৩০ জন কেন্দ্রীয় নেতা দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠিও দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জানাজায় মোতায়েন থাকবে ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
নিজের ফেসবুক পোস্টে সামান্তা শারমিন লেখেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক মিত্র নয়। তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক সহযোগিতা বা সমঝোতা এনসিপির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি জামায়াতের নেতারা বলেছেন—যারা জুলাইয়ের স্পিরিট ও বাংলাদেশ নিয়ে তাদের পরিকল্পনার সঙ্গে একমত, তারাই কেবল জোটে আসতে পারে।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, এনসিপির রাষ্ট্রকল্প, রাজনৈতিক দর্শন ও মৌলিক নীতির সঙ্গে জামায়াতের অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন তথা ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে অভিন্ন অবস্থান ছাড়া কোনো রাজনৈতিক মিত্রতা সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: মায়ের কফিনের পাশে তারেক রহমানের কোরআন তেলাওয়াত
সামান্তা শারমিন আরও লেখেন, সংসদীয় সংস্কারের প্রশ্নে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতির দাবি তুলে জামায়াত সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল। সে কারণেই দলের আহ্বায়ক আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, যারা সংস্কারের পক্ষে নয়, তাদের সঙ্গে কোনো জোট হবে না। এই অবস্থান থেকেই জুলাই পদযাত্রার পর ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় এবং সারাদেশ থেকে প্রার্থী আহ্বান করা হয়।
তিনি দাবি করেন, জামায়াতের সঙ্গে জোটের সমালোচনা করা মানেই বিএনপির পক্ষে অবস্থান নেওয়া নয়। বরং এনসিপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই যে রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশ করা হয়েছে, সেটিকেই তিনি সঠিক মনে করেন। তার মতে, বিএনপি বা জামায়াত—যেকোনো পক্ষের সঙ্গে জোট করা হলে তা এনসিপির নীতিগত অবস্থান থেকে সরে যাওয়ার শামিল হবে।





