খালেদা জিয়ার জানাজা পড়াবেন কে, জানালেন মির্জা ফখরুল
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাষ্ট্রীয় জানাজার ইমামতি কে করবেন—সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিতব্য জানাজা পড়াবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক।
মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার জানাজায় মোতায়েন থাকবে ১০ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ের সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়। বৈঠকে জানাজা ও দাফন প্রক্রিয়া পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন করার বিষয়ে সরকার ও দলের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও জানান, জানাজা শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তার স্বামী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে সমাহিত করা হবে।
আরও পড়ুন: মায়ের কফিনের পাশে তারেক রহমানের কোরআন তেলাওয়াত
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, জানাজা ও দাফন প্রক্রিয়ার সময় সবাইকে ধৈর্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
বিএনপি সূত্র জানায়, জানাজা ও দাফনের পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণ ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় জানাজার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিদায় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদায় সম্পন্ন করতে প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। বিএনপির শীর্ষ নেতারা আশা করছেন, প্রিয় নেত্রীকে শেষবারের মতো দেখতে জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামতে পারে।
এর আগে, মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বিএনপির পক্ষ থেকে সাত দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।





