পবিত্র আশুরা আজ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ন, ১৭ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ৭:৩৩ অপরাহ্ন, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ বুধবার ১০ মহররম, পবিত্র আশুরা। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে দিনটি শোকের। কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল’ দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। 

কারবালার ‘শোকাবহ এবং হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল’ দিনটি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে এ দিনটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন মুসলমানরা।

আরও পড়ুন: আজ শুভ জন্মাষ্টমী: শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে ভক্তদের ঢল মন্দিরে

পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বুধবার সরকারি ছুটি। আশুরা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। 

পবিত্র আশুরায় বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করছে। এছাড়া বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যম এবং স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল এই দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করছে।

আরও পড়ুন: নুসুক অ্যাপ এখন থেকে ইন্টারনেট ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে

 এ দিনে রোজা রাখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেউ যদি এ দিন রোজা রাখা তাহলে আল্লাহ তাআলা রোজাদারের পূর্বের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (মুসলিম)

এ দিনের রোজার হাদিসে জানা যায়, আশুরার দিনে মুসা আলাইহিস সালামকে ফেরআউন থেকে মুক্তি দেয়া হয়।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদিনায় এলেন এবং তিনি ইহুদিদেরকে আশুরার দিন রোজা পালন করতে দেখতে পেলেন। এরপর তাদেরকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার পর তারা বলল, এ সে দিন যে দিন আল্লাহ মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফিরআউনের ওপর বিজয়ী করেছেন। তার সম্মানার্থে আমরা রোজা পালন করে থাকি। তখন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমরা তোমাদের চেয়েও মুসা (আ.)-এর অধিক নিকটবর্তী। এরপর তিনি এ দিনে রোজা পালন করার নির্দেশ দিলেন। (মুসলিম ২৫২৩)

এ হাদিস থেকে এটা প্রমাণিত এদিন ফেরআউনকে পানিতে ডুবিয়ে মারা হয়েছিল। হাদিসে মুসা (আ.)-এর ঘটনা নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ দিনে আরও ৩টি ঘটনার কথা হাদিসের কিতাবসমূহে পাওয়া যায় তবে হাদিস বিসারদগণ সেগুলো অনির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত হয়েছে বলে মত দিয়েছেন। সে তিনটি ঘটনা হলো-

১. এ দিনে আল্লাহ তাআলা হজরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল করেন।

২. এ দিনে নুহ (আ.)-এর নৌকা জুদি পর্বতের উপর থামে।

৩. এ দিনে ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করেন।

এ ছাড়া এ দিনে কেয়ামত সংঘটিত হবে বলে যে কথা প্রচলিত আছে তার কোনো ভিত্তি নেই।

যে বর্ণনায় আশুরার দিন কেয়ামত হওয়ার কথা এসেছে তা হাদিস বিশারদদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিত্তিহীন, জাল। (কিতাবুল মাউজুআত ২/২০২)

তবে জুমার দিন কেয়ামত সংঘটিত হওয়ার কথা নির্ভরযোগ্য সূত্রে হাদিসে এসেছে। (তিরমিজি ২/৩৬২)

এ দিনের একটি শোকাবহ ঘটনা হলো ইরাকের কারবালার প্রান্তরে হজরত হুসাইন (রা.)-এর শাহাদত বরণের ঘটনা। যা মুসলিম জাতির জন্য অনেক দুঃখজনক বিষয়।