পেসার জাহানারার অভিযোগে বিসিবির পদক্ষেপ, গঠিত তদন্ত কমিটি
দিন কয়েক আগে এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া না বলা ঘটনা সামনে এনেছিলেন পেসার জাহানারা আলম। এবার তিনি যৌন হেনস্তার মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করা টাইগ্রেস এই পেসার সাবেক নির্বাচক, সাবেক ইনচার্জ, ম্যানেজারসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।
বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেবে।
আরও পড়ুন: মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জাহানারা আলমের
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ইতোমধ্যে বেশ কিছু করণীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ঢাকা পোস্টের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানা গেছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপসমূহ হলো:
সিইওকে স্পষ্ট করতে হবে, তিনি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন কি না এবং কবে পেয়েছেন। যদি পেয়ে থাকেন, কেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি তা ব্যাখ্যা করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন পদত্যাগ
অভিযুক্তরা যদি এখনও বিসিবিতে কর্মরত থাকেন, তবে সিইওকে তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে হবে।
সিইওকে আইন বিভাগ (লিগ্যাল টিম)-এর সহযোগিতায় দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তদন্তের অগ্রগতি বোর্ডে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। তদন্তের ভিত্তিতে সিইও ভুক্তভোগীকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেবেন।
সিইওকে ক্রিকেট অপারেশন্স/মহিলা উইং-এর সঙ্গে যৌথভাবে নারী খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিদ্যমান ব্যবস্থাগুলো পর্যালোচনা করতে হবে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন বোর্ডে জমা দিতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় মহিলা উইং-এর পরিচালককে অবহিত রাখতে হবে।
গতকাল রাতে বিসিবি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সাবেক বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের এক সদস্যের মাধ্যমে উত্থাপিত অভিযোগ উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে। বিসিবি সর্বদা খেলোয়াড় ও কর্মীদের জন্য নিরাপদ, সম্মানজনক ও পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বোর্ড এ ধরনের বিষয়কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখবে এবং তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত বিসিবি সকল পক্ষকে, বিশেষ করে গণমাধ্যমকে অনুমাননির্ভর মন্তব্য বা প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে, যাতে তদন্ত প্রক্রিয়া প্রভাবিত না হয়।





