বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

আবারও বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে উঠে এলো রাজধানী ঢাকা। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ৩১ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।
বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের শেনইয়াং। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৯৩ অর্থাৎ সেখানকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। দূষণ তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কিরগিজস্তানের বিশকেক। এই শহরটির স্কোর ১৭৬ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা এবং পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে চীনের আরেক শহর উহান।
আরও পড়ুন: সারাদেশে তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত, কিছু অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। আর ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-সিলেটসহ পাঁচ বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।