বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫১ পূর্বাহ্ন, ০১ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, ০১ মার্চ ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আবারও সবাইকে  শীর্ষে ঢাকা। শনিবার(১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে এই শহরের একিউআই স্কোর ছিল ৩০৪। আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, একই সময় ২৩৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীনের বেইজিং শহর এবং ২২০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে উজবেকিস্তানের তাশখন্দ শহর। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান ‘ খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ।  

এছাড়াও পাশাপাশি তালিকায়, ১৭৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে ইরাকের বাগদাদ শহর এবং ১৭৩ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে আছে মিশরের কায়রো শহর। অর্থাৎ এখানকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। আইকিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ী, বাতাসের গুণমান নির্ধারণের একিউআই স্কেল অনুযায়ী ০-৫০ ভালো, ৫১-১০০ মাঝারি,১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’, ১৫০ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।

আরও পড়ুন: আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের ২০টি জেলা বন্যার কবলে পড়তে পারে

২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়, ৩০১ বা তার বেশি একিউআই স্কোরকে ‘দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। বায়ুদূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের গবেষণা অনুযায়ী, শীতকালে বা শুষ্ক মৌসুমের নভেম্বর থেকে মার্চ- এই ৫ মাসে বায়ু দূষণ হয়ে থাকে ৫৭ শতাংশ। 

গবেষণা বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ঢাকার মানুষ মাত্র ৪৯ দিন নিরাপদ বাতাসে শ্বাস নিতে পেরেছে। চলতি বছরের নভেম্বরে ঢাকার মানুষ একদিনও স্বাস্থ্যকর বাতাসে শ্বাস নিতে পারেনি। বায়ুদূষণের কারণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমো নারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুহার বাড়ে।

আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার বায়ুদূষণ নাগরিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাইরে বের হলে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ ব্যক্তিদের বাড়ির বাইরে কম বের হতে বলা হয়েছে। শহরে সবুজায়ন ও গাছপালা বৃদ্ধির মাধ্যমে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।