সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশা বৃষ্টি সারাদেশে হাড় কাঁপানো শীত

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ন, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৯:৪৬ অপরাহ্ন, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন ব্যাপকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের কোনো শৈত্যপ্রবাহ নেই; তবে ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো দেখা না দেওয়ায় দিনের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে গিয়ে শীতের অনুভূতি বেড়েছে।

আজ সোমবার সকাল থেকে সারাদেশে আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, উত্তরাঞ্চলে গত সাতদিন এবং রাজধানীতে চারদিন ধরে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ অবস্থা আরও তিন-চার দিন থাকতে পারে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ২১ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ সর্বনিম্ন ৭.৫ ডিগ্রি

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সোমবার কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগের দিনও এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যান্য এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৭ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানীতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যথাক্রমে ১৩.৮ এবং ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আবহাওয়াবিদ ড. মোঃ বজলুর রশদি বলেন, “গত তিন দিনের মধ্যে দেশের তাপমাত্রা কমেছে। এ কারণে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি আরও তিন-চার দিন স্থায়ী হতে পারে। পরে কিছুটা উন্নতি হলেও শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।”

আরও পড়ুন: সারাদেশে ঘন কুয়াশা অব্যাহত, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস

ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ কিছুটা ব্যাহত হতে পারে। আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা বলেন, “সূর্যের আলো না পাওয়া এবং সর্বোচ্চ-সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি বাড়ছে। এ অবস্থা আরও তিন-চার দিন থাকতে পারে। ১ ও ২ জানুয়ারি তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, এরপর আবার কমতে পারে।”

শীতের তীব্রতায় শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন। রাজধানীতে ফুটপাত ও রাস্তার উপর শীতবস্ত্রের বিক্রি বেড়ে গেছে। পাশাপাশি শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।