মসজিদ পরিষ্কারের ময়লা গায়ে পড়ায় ইমামকে দুই দফায় পেটালেন স্বামী-স্ত্রী

মসজিদ পরিষ্কারের সময় স্বামীর গায়ে ময়লা পড়ায় নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে মো. হাফিজ মাহমুদুল হাসান নামে স্থানীয় মসজিদের ইমামকে মারধর করেছেন এক নারী। ওই নারী বেসরকারি হাসপাতাল ‘প্রাইম হসপিটাল’ এর চেয়ারম্যান শামিমা জাহান সুইটি বলে জানা গেছে।
ইমামকে মারধরের একটি সিসিটিভি ফুটেজ সোমবার (১ মে) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এর আগে গত রোববার বিকেলে শহরের মাইজদী হাসপাতাল সড়কে একটি ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত
৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, শামিমা জাহান সুইটি ফার্মেসিতে ঢুকে দাঁড়িয়ে প্রথমে ইমাম হাফিজ মাহমুদুল হাসানের সাথে কথা বলছেন। এর একপর্যায়ে সুইটি ধীরে ধীরে ইমামের কাছে যান এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই ইমাম হাফিজ মাহমুদুল হাসানকে মারধর শুরু করেন। মারধর করতে করতে তাকে ফার্মেসির ভিতরে নিয়ে যান সুইটি।
জানা যায়, রোববার সকালে স্থানীয় হাজী নূর ইসলাম মসজিদের ইমাম জহুর নামাজের জন্য মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রাইম হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মাহাবুবুর রহমান মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার গায়ে ধুলো পড়ে। এমন অভিযোগে ইমাম হাফিজকে গালমন্দ এবং একপর্যায়ে ব্যাপক মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় বিকেলে পুনরায় মাহাবুবুর রহমানের স্ত্রী প্রাইম হাসপাতালের চেয়ারম্যান শামিমা জাহান সুইটি হাসপাতালের সামনের ইসলাম ফার্মেসিতে গিয়ে ওই ইমামকে আবারও মারধর করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান
এ ঘটনার বিষয়ে জানার জন্য হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মাহাবুবুর রহমানকে পাওয়া যায়নি।
ইমাম হাফিজ মাহমুদুল হাসান বলেন, শামিমা জাহান সুইটি তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা উভয় পক্ষ থানায় বসে মীমাংসা করে নিয়েছি।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নির্যাতনের শিকার ইমাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। পরে দু’পক্ষ বসে মীমাংসা করে নিয়েছেন। এখন তাদের আর কোনো অভিযোগ নেই।