হিজাব না পরায় মুন্সিগঞ্জে ৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিলেন শিক্ষিকা

স্কুলে হিজাব পরে না আসায় জেলার সিরাজদিখানের সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দিয়েছেন ওই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা রুনিয়া সরকার। বুধবার ক্লাস চলাকালীন সময় এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হিজাব না পরার কারণে হঠাৎ করে রুনিয়া সরকার নামে শিক্ষিকা কাঁচি দিয়ে ৭ম শ্রেণির ৬ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেন। বিষয়টি প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা ধামা-চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা তালায় ঘেরের আইলে সবজি চাষ, কৃষিতে সম্ভাবনার হাতছানি
এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, হিজাব না পরার কারণেই চুল কেটেছে।
সৈয়দপুর আব্দুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ কে জানান, বিষয়টি আমি পরে জানতে পেরেছি। ৩ অথবা ৪ জন মেয়ের সামান্য চুল কেটেছে, তবে হিজাব না পরার কারণে নয়। মেয়েরা একটু উশৃঙ্খলতা করেছিল বলে এই কারণে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ভুইয়া জানান, ঘটনা সত্য। চুল কাটার বিষয়টি ওই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া ফরিদ আহমেদ স্বীকার করেছেন। আমি অভিযুক্ত শিক্ষিকার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম। তবে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে শো’কজসহ সব ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিরাজদিখান উপজেলা ইউএনও সাব্বির আহমেদ জানান, আমি বুধবার অনেক রাতে বিষয়টি জেনেছি। ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত রুনিয়া সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। মেসেজ পাঠানো হলেও তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। খবর: বাসস