নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আটক

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রী সালমা (৩৮) কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে স্বামী রুপচানকে আটক করেছে পুলিশ।
সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকার ভট্টপুর গ্রামে শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সালমা পৌরসভার ভট্টপুর এলাকার মো:রুপচাঁনের স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী বলে এলাকাবাসী জানায়।
আরও পড়ুন: ৪০ কেজি গাঁজাসহ বরখাস্ত পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার
স্থানীয় ও নিহতের পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত স্বামী রুপচাঁন দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় একটি কোম্পানিতে চাকরি করা মহিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত পরে। গোপনে চলতে থাকে তাদের অবৈধ মেলামেশা। পরকীয়ার সম্পর্কটি প্রকাশ্যে এলে সালমা প্রায়ই প্রতিবাদ করতেন এবং তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়।
নিহতের স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, ভট্টপুর এলাকার মোহাম্মদ রুপচানের সঙ্গে পৌর এলাকার তাজপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের মেয়ে সালমা বেগমের ১৯ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে একটি আট বছর বয়সী মেয়ে ও ১৮ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। রুপচান বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে আসক্ত হওয়ায় তার স্ত্রী সালমা বেগমের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে যৌথ টহল, নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসাথে মাঠে
নিহতের ছেলে আব্দুল্লাহ আরবান কাইফি(১৮) জানান, আমার বাবা দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত ছিল। এই নিয়ে মায়ের সাথে বাবার প্রায়ই ঝগড়া হতো। কিছুদিন আগেও মা'কে অনেক মারধর করেছে বাবা। পরে আমি আমার নানীর বাড়ির আত্মীয়দের জানিয়েছি। উনারা বলেছিলো ঈদের পর বসবে কিন্তু আজ আমার মা'কে মেরেই ফেললো পাষন্ড বাবা।
নিহত সালমার বড় ভাই রিপন খান জানান, প্রায় দুই বছর ধরে তার বোনের স্বামী পরকীয়ার সঙ্গে জড়িত। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার সালিশও হয়েছে। কিছুদিন আগেও তার বোনকে অনেক মারধর করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। এই নিয়ে তাদের সাথে তার কথাকাটাকাটিও হয়। এক পর্যায়ে তার বোনকে নিয়ে আসতে চাইলে তার বোন দুই বাচ্চার মুখের দিকে চেয়ে তার স্বামীর বাড়িতেই থেকে যায়। কিন্তু আজ ভোরে বোনের মরদেহ বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে এক পুকুরে তার স্বামীই দেখতে পায়।
তিনি আরও জানান , তার বোন কখনো পুকুরে যায় না। সে সব সময় বাড়ির টিউবওয়েলেই গোসল করে। পুকুর তার বাসা থেকে অনেক দূরে। তার স্বামীই তাকে শ্বাসরোধ করে মেরে পুকুরের পাড়ে ফেলে রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মহসিন মিয়া জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়নগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে স্বামীসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।