নান্দাইলের ডাবল মার্ডার :

এসপি কোহিনূর মিয়া বেকসুর খালাস

AK Azad
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ন, ১২ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১:০১ অপরাহ্ন, ১২ নভেম্বর ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পৌরসভা নির্বাচনে দুই দলের সহিংসতার সময় পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহতের ঘটনার মামলায় তৎকালীন পুলিশ সুপার কহিনুর মিয়া সহ আসামিরা বেকসুর কালাস পেয়েছেন।

দীর্ঘ ২০ বছর মামলায় আইনি লড়াইর মাধ্যমে অবশেষে অভিযুক্তরা মুক্তি পান। আইনজীবীরা জানান বেকসুর খালাস পাওয়ার পর এসপি কোহিনুর মিয়া এখন ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পদোন্নতি সহ চাকরি ফেরত পাবেন। আরো এক বছরের উপরে তার পুলিশ বিভাগে চাকরি আছে।  

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ২০০৪ সালের ৫ মে  আচারগা হাই স্কুল কেন্দ্রে পৌর নির্বাচনে ভোট গ্রহন চলাকালে গুলিতে ২ জন নিহতের ঘটনায় তৎকালীন পুলিশ সুপার কোহিনুর মিয়া ও পৌর মেয়র প্রার্থী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া উজ্জ্বলের নামে দায়েরকৃত মামলা মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) অতিরিক্ত দ্বিতীয় সাবজজ আদালতের বিজ্ঞ বিবিচারক সাবরিনা আলী আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

এই রায়ের ফলে দেশের আলোচিত পুলিশ সুপার কোহিনূর মিয়া দেশে ফেরা এবং চাকুরীতে যোগদানের আর কোন আইনী জটিলতা রইলো না। দীর্ঘ ২০ বছর ৬ মাস ৩ দিন আইনী লড়াইয়ের  মাধ্যমে আসামিরা নির্দোশ প্রমানিত হয়েছে।

মামলাটি ইতি পুর্বে পুলিশ ৩ বার চুড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছিল। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুধু মাত্র হয়রানির জন্য আওয়ামীলীগ নেতা রফিক   উদ্দিন ভুইয়া পরবর্তী মামলাটি করেন। পৌর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে হারার পর আওয়ামী লীগ নেতা রফিক উদ্দিন ভুইয়া আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে মামলাটি করে। ভিকটিম সুজন ও আবু তাহেরের পরিবার কোন মামলা করেনি।

মামলায় আসামি পক্ষে এডভোকেট এএইচ এম খালেকুজ্জামান,এডভোকেট আতাউর রহমান মুকুল ও এডভোকেট এম এ হানান্ন খান এবং  রাষ্ট্র পক্ষে এডভোকেট আনোয়ার আজিজ টুটুল কৌশলী ছিলেন।