যুগ্ম সচিবের কথা বলে অধ্যক্ষের দেওয়া নাম্বার থেকে প্রভাষকের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা দাবী

Sanchoy Biswas
ময়মনসিংহ (ঈশ্বরগঞ্জ) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ন, ০১ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন, ০১ জানুয়ারী ২০২৬
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলাধীন উচাখিলা ইউনিয়নের কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের দেওয়া মুঠোফোন নাম্বার এ কথা বলে অধ্যক্ষের দেওয়া মুঠোফোন থেকে প্রভাষকের কাছ থেকে ২লক্ষ টাকা দাবি।

গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে অত্র কলেজে কর্মরত প্রভাষক মানিক চন্দ্র দেবনাথ ও নীল কণ্ঠ আইচ মজুমদার এর সাথে ২ লক্ষ টাকা দাবির এ ঘটনা টি ঘটে। 

আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ চারজন গ্রেফতার

পরে অধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষের দেওয়া ২ লক্ষ টাকা দাবি করা যুগ্ম সচিব পরিচয় দেওয়া অজ্ঞাত মুঠোফোন নাম্বার টি উল্লেখ করে কলেজে কর্মরত ভুক্তভোগী প্রভাষক মানিক চন্দ্র দেবনাথ, বাদী হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একই তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ কলেজের বিভিন্ন বিষয় নিয়া মতবিরোধ ও মনোমালিন্য তা চলে আসছে। এমতাবস্থায় প্রায় সময় উক্ত  বিবাদী আমার ক্ষতিসাধন করার কাজে লিপ্ত থাকে।  ফলে গত ২৭/২/২০২৫ ইং তারিখে উপরোক্ত বিবাদী আমার সহকর্মী নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার কে ফোন করিয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের কথা বলে একটি নাম্বার দিয়ে তার সাথে কলেজের বিষয়ে কথা বলতে বলেন। তখন উক্ত বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হলে আমি তাহাকে ফোন দেয়নি। ফলে একই তারিখে বিবাদির দেওয়া মুঠোফোন নাম্বার থেকে বিকেলে বাদী মানিক চন্দ্র দেবনাথ এর ব্যক্তিগত মুঠোফোনে অজ্ঞাত এক  ব্যক্তি কল  দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব পরিচয় দিয়ে   কলেজের অধ্যক্ষের সাথে ঝামেলার আফসোস করিয়া দিবে মর্মে  ২ লক্ষ টাকা দাবি করে। তখন বাদী টাকা দেওয়ার কথা অস্বীকার করলে বাদী মানিক চন্দ্র দেবনাথ ও নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার এর চাকরি ও মানসম্মান এর সমস্যা হবে বলে হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেয়। 

আরও পড়ুন: শিবপুর প্রেসক্লাবের আসাদ সভাপতি, মাহবুব খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

বিষয়ে অভিযোগকারী মানিক চন্দ্র দেবনাথ জানান, বিভিন্ন সময়ে কলেজের শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ, শারীরিক ভাবে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করাসহ কলেজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ায় অধক্ষ্যের বিরুদ্ধে কলেজের সকল প্রভাষক মিলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সন্দেহ হচ্ছে এর বদলা নিতেই তিনি ওই যুগ্মসচিবের নাটকটি মঞ্চস্থ করেছেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ করছি ও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

বিষয়টি নিয়ে অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল বলেন, আমাকে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের আঞ্চলিক অফিস থেকে ফোন করে ওই নম্বরটি দেওয়া হয় এবং নম্বরটি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিবের বলে জানানো হয়।