দুমকিতে হামলা করে মালামাল লুটের অভিযোগ

Sanchoy Biswas
আল ফাহাদ , দুমকি (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ৫:১৫ অপরাহ্ন, ২২ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, ১৪ মে ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়ায় শাহীন আলম ফোরকানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে মালামাল লুটের অভিযোগ উঠেছে আল আমিন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। 

গত সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মুরাদিয়ার বোর্ড অফিস বাজার এলাকায় উক্ত ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শাহীন আলম মঙ্গলবার দুপুরে দুমকি প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন  করেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে মুরাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলামসহ একটি কুচক্রী মহল চাঁদা দাবি করেন এবং তার দোকানে জোড় পূর্বক ঢুকে নগদ এক লক্ষ টাকা ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে গতবছরের ১৭ ডিসেম্বর তারিখে পটুয়াখালী পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর স্ত্রী সুরমা বেগম। যা তদন্তাধীন রয়েছে। গতকাল সোমবার তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মামলা ও লুটের ঘটনায় মুরাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলামের যোগসাজশের কথা উল্লেখ করেন। লিখিত অভিযোগে তিনি মুরাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারিকুল ইসলামের ছত্রছায়ায় এমন কর্মকাণ্ড হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মালামাল লুট ও ভাংচুরের সময় ফোরকানের স্ত্রী ও বোন ৯৯৯- এ কল করলে বিকেলে দুমকি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ করতে গেলে তার অভিযোগ না নিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আল আমিন বলেন, আমি দোকান খুলে শুধু একটি টেবিল ফ্যান সরিয়ে রেখেছি আর কিছু নেইনি।

মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না।

মুরাদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তারিকুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ না নেয়ার কথা সঠিক নয়।