ফ্যাসিস্ট ইউএনও’র অনিয়ম দুর্নীতি ও অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

Sanchoy Biswas
আব্দুল শহিদ, সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ৮:১৫ অপরাহ্ন, ০৪ মে ২০২৫ | আপডেট: ৩:১৫ অপরাহ্ন, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইউএনও মফিজ হটাও, বিশ্বম্ভরপুর বাঁচাও এমন শ্লোগানে সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর উপজেলার ইউএনও মো. মফিজুর রহমানের অপসারণ, নানা অনিয়ম, দুর্নীতির প্রতিবাদে রবিবার সকালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চত্বর ও কারেন্টের বাজারে পৃথক দুটি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্রতিবাদকারীদের অভিযোগ ইউএনও মফিজুর রহমান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সীমান্তের চোরাচালান, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করে প্রচুর ফায়দা লুটেন। বর্তমানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে ঠিক একই ভাবেই অনৈতিক ফায়দা হাসিল করছেন। তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে প্রচুর অর্থ রয়েছে। এছাড়াও অযৌক্তিক প্রকল্প গ্রহণ, স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাধারণ মানুষ মানববন্ধন করেন। 

আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মফিজুর রমানের অপসারণ দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন চলাকালে ইউএনও’র পক্ষ নিয়ে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা করে। হামলায় অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। তারা জানান, বিশ্বম্ভরপুর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের একাংশের কিছু নেতা কর্মী এই হামলা চালায়। হামলার সাথে জড়িতরা হচ্ছে, ডা. আসাদুজ্জামান, সৈয়দ আকরাম হোসেন, সোহাগ তালুকদার, জাহাঙ্গীর, সুহাঙ্গীর, আলমগীর, আরিফ রব্বানী হিমেল, কয়েস আহমদ, শাহ রাজিব, গোলাপ রায়হান, শেকুল ইসলাম, কামাল মেম্বারসহ অর্ধশতাধিক লোক। 

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মো. শফিকুল ইসলাম জনি, নুরুল আলম, আব্দুর রবসহ অন্যান্যরা। অভিযুক্ত ইউএনও  মো. মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমি জেলা সদরে ছিলাম শুনেছি আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মানববন্ধন করেছেন আবার কিছু লোক তাদের উপর হামলা করেছে। 

আরও পড়ুন: ‎পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার

বিশ্বম্ভরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মুখলেছুর রহমান জানান, মানববন্ধনের বিষয়টি অবগত আছি। হামলার ঘটনা নিয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।