মেঘনা নদীতে ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা
লক্ষ্মীপুরের -কমলনগর অংশের মেঘনা নদীতে ইলিশের খরা চলছে। প্রতিবছর এই সময়ে জমজমাট ছিল ইলিশের বাজার। এবার ইলিশশূন্য হয়ে পড়েছে মাছের আড়ত ও বাজারে। জেলে পল্লিতে চলছে হাহাকার। টানা দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ মে থেকে মেঘনা নদীতে জেলেরা জাল ফেলে ইলিশ পাচ্ছেন না। মেঘনায় কার্যত দেখা দিয়েছে ইলিশের খরা। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলো ও জেলে পল্লিতে। নিষেধাজ্ঞা শেষে কমলনগর উপজেলার মাছের আড়তগুলো একমাস ধরে প্রায় ইলিশ শূন্য। শুধু ইলিশ নয়; নদীর অন্য প্রজাতির মাছও ধরা পড়ছে না। এই অঞ্চলে এখনো পুকুর ও ঘেরে চাষ করা মাছের ওপর নির্ভরশীল ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃষ্টি না হওয়ায় নদীতে এখনো মিঠা পানি আসেনি। বৃষ্টি হলে সাগরের মিঠা পানি নদীতে প্রবেশ করলেই জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়বে। বৃষ্টি হলে এই সংকট কেটে যাবে।
নিষেধাজ্ঞা শেষের এক মাস পার হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীর উপকূলে ইলিশ মাছের আকাল দেখা দিয়েছে এখন। কমলনগর উপজেলার মতিরহাট, লুধুয়া ঘাট, নবীগঞ্জ, নাছিরগঞ্জ, মাতাব্বরহাট ও এমন চিত্র দেখা গেছে।
কমলনগর উপজেলার মাতাব্বর হাট মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে অলস সময় পার করছেন জেলেরা। কেউ গল্প করছেন, কেউবা জাল সিলাই করছেন। মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ইলিশ মাছ নেই।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন
নাছিরগঞ্জ এলাকার সোলাইমান মাঝি জানান, এক মাস ধরে নদীতে ইলিশ ধরা পড়ছে না। প্রতিদিন ক্রেতারা এসে ইলিশের খোঁজ নেন, কিনতেও চান। কিন্তু ইলিশ নেই।
কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুর্য সাহা বলেন, মেঘনা নদীতে এখন পানির চাপ কম থাকায় ইলিশ ধরা পড়ছে না।
মেঘনা নদীতে এখন পানির চাপ কম। বৃষ্টি নেই, মিঠা পানিও আসছে না। এ জন্যই ইলিশ ধরা পড়ছে না।





