হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর কারফিউ জারি , থমথমে গোপালগঞ্জ

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১০ অপরাহ্ন, ১৭ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৬:১০ পূর্বাহ্ন, ১৭ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে বুধবার (১৬ জুলাই) দিনভর চলা দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর সন্ধ্যা থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শহরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের গাড়ি ও ইউএনও’র গাড়িবহরে হামলার পাশাপাশি সমাবেশ মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। তীব্র উত্তেজনার মুখে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশ্রয় নেন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে, যেখান থেকে পরে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে তারা সরে যান।

আরও পড়ুন: নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে শহরজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করে। প্রধান সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। অধিকাংশ দোকানপাট ও বাজার ছিল বন্ধ। কিছু অলিগলিতে সীমিত সংখ্যক মানুষ চলাচল করলেও তাদের চোখেমুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ।

সকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন উপস্থিতি না থাকলেও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ইটপাটকেল, গাছের গুঁড়ি ও ভাঙা তোরণের মতো যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাখা ছিল।

আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে নির্যাতিত শিশুর পাশে তারেক রহমান

গোপালগঞ্জ চক্ষু হাসপাতালের সামনে মহাসড়কে গাছ কেটে ফেলা হয়। শহরের বিভিন্ন মোড়ে চায়ের দোকান ও কিছু রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও লোকসমাগম ছিল খুবই সীমিত।

বাসিন্দা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, গতকাল মেয়েকে হাসপাতালে খাবার দিতে পারিনি। আজ সকালেই রওনা দিয়েছি। আবার সহিংসতা শুরু হওয়ার আশঙ্কা থেকে দ্রুত যাওয়ার চেষ্টা করছি।

অটোরিকশাচালক মাহফুজ আলম বলেন, “কারফিউ জারি হয়েছে। তাই গাড়ি নিয়ে বের হইনি। মানুষজনও নেই রাস্তায়।

সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। গোপালগঞ্জ সদর সার্কেলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অভিযুক্তদের ধরতে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এনসিপির পদযাত্রাকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয় মঙ্গলবার থেকেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চলার পর বুধবার সকালে পুলিশ গাড়িতে হামলা ও আগুন দেওয়ার মাধ্যমে সংঘর্ষের সূচনা ঘটে। এরপর শহরের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।