পটুয়াখালীতে সাংবাদিককে মারার হুমকি দিলেন জেলা মহিলা দলের সভাপতি

Sanchoy Biswas
অপূর্ব সরকার, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ন, ১১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৪:০৩ অপরাহ্ন, ১১ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

পটুয়াখালীতে এশিয়ান টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম তনুকে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও বেঁধে মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা মহিলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা সীমার বিরুদ্ধে। ঘটনাটির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা ইতোমধ্যে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, জেলা মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা সীমা সাংবাদিক তনুকে উদ্দেশ্য করে নোংরা ভাষায় গালাগালি করছেন এবং প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন যে, তাকে বেঁধে রাখা হবে ও মারধর করা হবে।

আরও পড়ুন: সাদা পাথর রক্ষায় প্রশাসনের ৫ দফা সিদ্ধান্ত

সাংবাদিক রাকিবুল ইসলাম তনু জানান, সম্প্রতি শহরের এক যুবকের বাসায় এক তরুণী অবস্থান করছে—এমন একটি খবর পান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য তিনি ওই তরুণীর বাবাকে ফোন করে জানতে চান কী কারণে মেয়েটি সেখানে অবস্থান করছে। পরে এই ঘটনা নিয়ে কেউ আফরোজা সীমার কাছে বিচার দিলে তিনি তনুকে ডেকে নেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ডাকার পরপরই আফরোজা সীমা ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং শারীরিকভাবে আক্রমণের হুমকি দেন।

রাকিবুল তনুর দাবি, “আমি শুধু তথ্য জানার জন্য মেয়েটির বাবাকে ফোন করেছিলাম। এরপর অকারণে আমাকে ডেকে অপমানিত করা হয়েছে এবং শারীরিকভাবে ক্ষতি করার হুমকি দেওয়া হয়েছে, যা একজন সাংবাদিকের জন্য মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতার বিষয়।”

আরও পড়ুন: ‎পাবনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডাকা পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আফরোজা সীমা বলেন, “সে আমার নাতিজামাই সম্পর্কের। এটি সম্পূর্ণ পারিবারিক বিষয়। কথা কাটাকাটির সময় হয়তো কিছু কথা হয়েছে, তবে এর সঙ্গে অন্য কোনো ইস্যুর সম্পর্ক নেই।”

এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছে। তারা বলছেন, একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে এ ধরনের ভাষা ও হুমকি শোভনীয় নয়, বরং এটি পেশাগত স্বাধীনতার ওপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।

এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।