কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ৩৬ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

নিকলীর হাওর থেকে আবারো ৩৬ কেজি গাঁজাসহ তিন কারবারিকে আটক করেছেন নিকলী থানা পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। থানায় এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকার নৌ পথে বর্ষায় বেড়ে যায় মাদক কারবারি এবং মাদকসেবীদের তাণ্ডব। এছাড়াও মাদকের নেশায় আসক্তদের অনেকই নৌপথে গরু লুটেলর সাথে জড়িত থাকে এই বর্ষা মৌসুমে। গত ২৬ আগষ্ট রাত আনুমানিক ২টার দিকেও জারইতলা ইউনিয়নের গাছতলার মজিবুরের বাড়ি থেকে আবদুল রহমান নামের এক গরু চোরকে এলাকাবাসী আটক করে নিকলী থানা পুলিশে দেয়। আটককৃত চুরের সাথেও মাদক পাওয়া যায়। এক পর্যায়ে তিনি মাদকের নেশায় টাকার অভাবে এসব করে থাকেন বলেও স্বীকার করে। এ সময়ে সঙ্গীয় সদস্যরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন বলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। তাছাড়াও এ
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা তালায় ঘেরের আইলে সবজি চাষ, কৃষিতে সম্ভাবনার হাতছানি
ঘটনার একদিন আগেও দামপাড়াতে এলাকাবাসী মিলে করিমগঞ্জের এক কারবারিকে কেজি গাঁজাসহ সাময়িক আটক করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এই কারবারিকে হাতেনাতে পাননি।
মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে উপজেলার জারইতলা, ছাতিরচর, ও গুরই ইউনিয়নসহ আরও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে সর্বস্তরের এলাকাবাসী মিলিত হয়ে দফায় দফায় সামাজিক বৈঠক থেকে শুরু করে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল মিটিং করে চলেছেন দীর্ঘদিন আগে থেকেই। থানা পুলিশের ভাষ্যমতে, এই বিষয়ে পুলিশও রয়েছে কঠোর অবস্থানে। নিকলী থানা পুলিশের দেয়া তথ্যমতে উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের টেঙ্গুরিয়ার নদী সংলগ্ন হাওরের বুক থেকে ৪) আরিফ (৩২), পিতা মৃত শুক্কুর, গ্রাম-আলিমচর মনি, ইউপি বিষ্ণপুর, ৮নং ওয়ার্ড, থানা- বিজয় নগর, জেলা-
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ধানের শীষের কান্ডারী হিসেবে আলোচনার শীর্ষে এইচ. এম. রহমত উল্লাহ পলাশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ২) ইউসুফ (৩৮), পিতা মৃত দুলাল মিয়া, গ্রামঃ আতকা পড়া মনিপুর পত্তর, থানা- বিজয় নগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ৩) হিরণ এলাইচ পরাণ (৩৫) পিতা হারুন অর রশিদ, গ্রাম মনিপুর পত্তর, থানা- বিজয় নগর, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এই ৩ মাদক কারবারিকে বেলা প্রায় ৪টার দিকে এসআই নুরুল ইসলাম মোস্তাক সঙ্গীয় এএসআই আমজাদ, কনস্টেবল মাহাবুব হোসেন, কনস্টেবল তানজিদ হোসেনের একটি টিম নৌ পথে মাদক অভিযানে নামে।
এ সময়ে তাদের কাছে থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। পুলিশের দেয়া তথ্যমতে চামড়া বন্দরের দিকে যাওয়ার পথে নৌকাসহ তাদেরকে আটক করা হয়। এই বিষয়ে থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে থানাপুলিশ নিশ্চিত করে। নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী আরিফ উদ্দিনের ভাষ্যমতে, তার কাছে মাদকের খবর আসলেই অভিযান পরিচালনা করতে তিনি কোনো ধরণের দ্বিধাবোধ করেননি। পাশাপাশি মাদক কারবারি যেই হোক না কেনো দলমত নির্বিশেষে তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
নিকলী উপজেলা প্রতিনিধি