আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে বিজয়নগরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

Sadek Ali
সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ন, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:২০ অপরাহ্ন, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগর) সংসদীয় আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার দুইটি ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাথে যুক্ত করায় বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা।

বরিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রবিবার সকালে তারা উপজেলার চান্দুরা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন: চায়ের দোকানি দিয়ে চলছে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বিভাগ

স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর, চান্দুরা ও বুধন্তী ইউনিয়নকে বাদ দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাথে যুক্ত করে প্রথমের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকেই স্থানীয়রা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে শুনানিতে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা গ্রুপ ও এনসিপি নেতা মো. আতাউল্লাহর মাঝে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরবর্তীতে গত ৪ সেপ্টেম্বর হরষপুর ছাড়া চান্দুরা ও বুধন্তী ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাথে যুক্ত করে নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এই খবরে বিজয়নগর উপজেলাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, স্বাধীনতার পর থেকে তিতাস পূর্বাঞ্চলের ১০টি ইউনিয়নকে বিভিন্নভাবে অবহেলিত করে রাখা হয়। এখনো বিজয়নগর উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করার মাধ্যমে আমাদের এলাকার উন্নতি ব্যাহত করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে। এমন জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিজয়নগর উপজেলাবাসী ঐক্যবদ্ধ। বিজয়নগর উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করার ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত পূর্বের সংসদীয় আসন ব্রাহ্মণবাড়িযা-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনে বহাল রাখার দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন: মাজারে হামলার ঘটনায় আতঙ্ক কাটেনি, ‘মব সন্ত্রাস’ নিয়ে আবারো প্রশ্নে সরকার

বিজয়নগর সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ইমাম হোসেন বলেন, বিজয়নগরকে ছোট করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে চান্দুরা ও বুধন্তি ইউনিয়ন। একইসাথে উন্নয়ন থেকেও বঞ্চিত হবেন এখানকার মানুষ। তিনি এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে ইউনিয়ন দুইটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে পুনর্বহালের দাবি জানান।

এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি ও হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।