কুমিল্লায় মা–মেয়েকে হত্যা: কবিরাজ মোবারক গ্রেপ্তার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ন, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:৫৯ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কুমিল্লায় মা–মেয়েকে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। জিন তাড়ানোর কথা বলে ডেকে আনা কবিরাজই তাদের হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় একমাত্র অভিযুক্ত কবিরাজ মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরীর ধর্মপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোবারক নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে এবং বাবুস সালাম জামে মসজিদের খাদেম। পাশাপাশি কবিরাজিও করতেন তিনি।

আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান এ তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, নিহত তাহমিনা বেগম (৫২) প্রায়ই ঝাড়ফুঁক করাতেন। এ সূত্রে বাবুস সালাম জামে মসজিদের খাদেম মোবারকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। গত এক মাস ধরে মোবারক তাদের বাসায় যাতায়াত করছিলেন।

আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে

গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তাহমিনা তার মেয়ে সুমাইয়া আফরিনের (২৩) জিন তাড়ানোর জন্য মোবারককে বাসায় ডাকেন। একপর্যায়ে মোবারক সুমাইয়াকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়ে বিপদে পড়ায় মা এগিয়ে এলে প্রথমে তাহমিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি। পরে সুমাইয়াকেও একইভাবে হত্যা করে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যান।

পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পরপরই তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশের একটি স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মোবারককে শনাক্ত করা হয়। ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সোমবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ নগরীর ধর্মপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে, হত্যাকাণ্ড দুটি মোবারক একাই ঘটিয়েছেন। তবে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে, অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

গ্রেপ্তার মোবারককে আদালতে তোলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

উল্লেখ্য, সোমবার ভোরে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুড়ি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে মা তাহমিনা বেগম এবং মেয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ছেলে তাজুল ইসলাম এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।