নগরকান্দায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি : আতঙ্কিত জনগণ

ফরিদপুরের সালথা-নগরকান্দায় সর্বত্রই বিশেষত: নগরকান্দা পৌরসভা এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরকান্দা পৌরসভার বিভিন্ন অলিগলিতে ও পাড়া-মহল্লায় যেদিকে চোখ যায় কুকুর আর কুকুর। এরমধ্যে এখন আবার ভাদ্র মাস হওয়ায় কুকুরের উপদ্রব অসহনীয়ভাবে বেড়ে গেছে।
পৌর এলাকার জনসাধারণের রাস্তায় কুকুর আতঙ্কে চলাচল করতে হচ্ছে। কুকুর নিধনের বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের দায় দায়িত্ব থাকলেও কার্যকরী কোন পদক্ষেপ এখনো নেয়নি।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে বকেয়া বেতন দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ
নগরকান্দা পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা, উপজেলা কার্যালয়, হাসপাতাল, পল্লী বিদ্যুৎ অফিস, ফায়ার স্টেশন, নগরকান্দা বাজার, প্রেসক্লাব রোড, কলেজ রোড ও বিভিন্ন বাজার বেওয়ারিশ কুকুরের দখলে। এসব গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে আসা-যাওয়া করতে চোখে পড়ে ডজন ডজন কুকুরের ঝাক। থানার সামনে, হাসপাতালে ও উপজেলা প্রশাসনিক অফিসের গেটের ভেতরে দেখা মেলে ঝাকে ঝাকে কুকুর।
ভাদ্র মাস আসার সাথে সাথে কুকুরের উপদ্রব অসংখ্য ভাবে বেড়ে গেছে। ১৯৯৯ সালে নগরকান্দা পৌরসভা স্থাপিত হয়। এরপর থেকে মাত্র একবার ২০০৫ সালে তৎকালীন পৌর মেয়র আলীমুজ্জামান টুলুর নেতৃত্বে কুকুর নিধন করা হয়েছিল। এরপর দীর্ঘ বছর ধরে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা হচ্ছে না বিধায় নগরকান্দা পৌরসভায় বিভিন্ন অলিতে গলিতে কুকুরের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড় থেকে বাঁচতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নগরকান্দা পৌরবাসী।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সংবাদ সম্মেলন করে ২ আ.লীগ নেতার পদত্যাগ
প্রতিদিন সকালে অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুল -মাদ্রাসায় পাঠিয়ে কুকুর আতঙ্কে দুশ্চিন্তায় থাকেন। কারণ যেন কোন মুহূর্তে তাদের আদরের সন্তানকে কুকুরে আক্রমণ করতে পারে।
নগরকান্দা পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবির উদ্দিন বলেন,কুকুর নিধন করা যাবেনা। হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আছে।