টেকনাফে দুই গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধ, রাতভর আতঙ্কে গ্রামবাসী

Sadek Ali
টেকনাফ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:২২ অপরাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১২:২২ অপরাহ্ন, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড় সংলগ্ন রঙ্গিখালী এলাকায় দুই অস্ত্রধারী গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। রাতভর থেমে থেমে গুলির শব্দে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে শুরু হয়ে টানা তিন ঘণ্টা ধরে টেকনাফের হ্নীলা রঙ্গিখালী উলুচামারি এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ইপিজেডে পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ৯ ইউনিট

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা পাহাড়ি সংলগ্ন রঙ্গিখালী ও উলুচামারি এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বন্দুকধারী, মাদক কারবারি, ডাকাত ও অপহরণকারী চক্রের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এসব বিরোধের জেরে আগেও একাধিকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার রাতে লাশ জালাল গ্রুপ ও আনোয়ার-মিজানের নেতৃত্বাধীন আরেক গ্রুপের মধ্যে তীব্র গোলাগুলি হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, লাশ জালাল, আনোয়ার ও মিজানসহ এই গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক, অপহরণ, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

উলুচামারির বাসিন্দা রহমত উল্লাহ বলেন, বুধবার রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ গুলির শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। প্রথমে মনে করেছিলাম সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। পরে দেখি এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে। রাতভর ৩০০-৪০০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি। মানুষ খুব আতঙ্কে আছে।

আরেক বাসিন্দা রহিমা খাতুন বলেন, রাতভর গুলির শব্দে ঘুমাতে পারিনি। ছেলে-মেয়েরা ভয়ে কাঁপছে। আমরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।

বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, পাহাড় লাগোয়া হওয়ায় রঙ্গিখালী ও উলুচামারি অপরাধীদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। অপরাধের পর তারা সহজেই পাহাড়ে পালিয়ে যায়।

উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল হাসান বলেন, গোলাগুলির বিষয়টি আমরা জেনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।