চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চাকসু নির্বাচন
ভিপি-জিএস পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের জয়, এজিএস ছাত্রদলের

৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট। ভিপি (সহসভাপতি) পদে নির্বাচিত হয়েছেন ইব্রাহিম হোসেন রনি এবং জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে জয় পেয়েছেন সাঈদ বিন হাবিব। অন্যদিকে এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে জয়ী হয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ৪টার দিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলের অনানুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চাকসুর ১৪টি হলের প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি পেয়েছেন ৭,২২১ ভোট, জিএস সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৭,২৯৫ ভোট, আর এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ৬,৪৪১ ভোট।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় আড়াই লাখ টাকার ভারতীয় বিড়ি-সিগারেট জব্দ
বুধবার সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। চাকসুর ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদে লড়েছেন ৪৯৩ জন।
দিনভর শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও, ফলাফল ঘোষণার আগে রাত একটার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
দুই হলের ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি মুক্ত হন।
ফলাফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের বাইরে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সমর্থিত দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেন। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতেই ক্যাম্পাসে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও ফলাফল ঘোষণার সময় সতর্কতা জারি ছিল।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। অনেকেই আশা করছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবেন এবং দীর্ঘদিনের ছাত্র রাজনীতির স্থবিরতা কাটিয়ে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তুলবেন।