দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ করেছে ‘আলোর ঝলক’
 
                                        কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যবই উপহার দিচ্ছে সেবামূলক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আলোর ঝলক’। একইসঙ্গে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকালে কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের খুঁজে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই, খাতা ও কলম পৌঁছে দেওয়া শুরু করেছে সংগঠনটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আবার ফিরবে: তামিম ইকবাল
জানা গেছে, কটিয়াদী উপজেলার চর আলগী গ্রামের কাঞ্চন মিয়ার মেধাবী মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে এই শিক্ষা উপকরণ দেওয়ার মধ্যদিয়ে কার্যক্রম শুরু করে আলোর ঝলক। সে কটিয়াদী সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, “আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে যারা হতদরিদ্র ও লেখা-পরাশোনা চালিয়ে যেতে পারে না তাদেরকে সহায়তা করে থাকি। মেধাবী মেয়েটিকে তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সংগঠনটি পাশে থাকবে।”
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে একাত্তর ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষুধ বিতরণ
সিনিয়র সহসভাপতি ও সরারচর সৌদামিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, “সংগঠনটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায়দের পাশে থেকে কাজ করছে।”
সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল হক জাকির বলেন, “এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সমাজের পিছিয়ে পড়া অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মানবিক কাজে পাশে থাকা। মেয়েটির উচ্চ মাধ্যমিকের সকল খরচ বহন করবে আলোর ঝলক।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কটিয়াদী উপজেলা শাখার সভাপতি হাসিম উদ্দিন আহমেদ, হিরন মিয়া প্রমুখ। বই প্রদানে বিশেষ সহযোগিতা করেছেন লেকচার পাবলিকেশন্স মার্কেটিং অফিসার ইসমাইল হোসেন, যিনি বলেন, “শিক্ষা একটি জাতির মেরদণ্ড। অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায় না। দারিদ্রতা কোনো বাধা নয়, বরং এটি প্রেরণার উৎস। অধ্যবসায়, সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। আলোর ঝলক সকল হতদরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশে থাকবে।”
ভবিষ্যতেও আলোর ঝলক এলাকার সকল অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের জীবনমান উন্নয়ন ও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। সংগঠনের এই মানবিক উদ্যোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সন্তোষ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।





 
                                                    
 
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                     
                                        
                                        
                                    