বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আব্দুল বারী ড্যানীকে চূড়ান্ত মনোনয়নে রাখার দাবিতে গণমিছিল
নেত্রকোনা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আব্দুল বারী ড্যানীকে চূড়ান্ত মনোনয়নে রাখার দাবিতে শান্তিপূর্ণ গণমিছিল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে বারহাট্টা সদরে উপজেলার সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ এ গণমিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন
উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার শ্যামল বলেন, তারেক রহমান দূরদর্শী নেতা। তিনি আমাদের হতাশ করবেন না। এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বর থেকে বেড়ে ওঠা ছাত্রনেতা। ৪০ বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে উঠেছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসনে পড়াশোনা করেও তিনি চাকরির পেছনে দৌড়াননি। সাধারণ মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক জীবনে কখনো আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি নেত্রকোনা জেলার সবচেয়ে ক্লিন ইমেজের নেতা। আমরা বারহাট্টাবাসী তাঁকে নিয়ে গর্বিত। বারহাট্টা অবহেলিত উপজেলা। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বারহাট্টাবাসী বারবার মনোনয়নে বঞ্চিত হয়েছে। এই সংসদীয় আসনটিতে জয়লাভ করতে হলে চূড়ান্ত মনোনয়নে অবশ্যই এটিএম আব্দুল বারী ড্যানীকে রাখতে হবে। অন্যথায় এই আসনে আমাদের ভরাডুবি নিশ্চিত। তারেক রহমান অবশ্যই আমাদের আবেগ ও অনুভূতির মূল্যায়ন করবেন।
জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদউদ্দিন বলেন, এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী বিএনপির পরীক্ষিত নেতা। তিনি রাজনৈতিক জীবনে চাওয়া-পাওয়ার উর্ধ্বে উঠে সবসময় রাজনীতি করেছেন। ২০১৮ সালে ড্যানী ভাইকে মনোনয়ন ঘোষণা করে পরে আবার পরিবর্তন করা হয়েছিল। কিন্তু এবার ড্যানী ভাইকে চূড়ান্ত মনোনয়ন না দিলে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেবে। ধানের শীষের ভরাডুবি হবে। সম্ভাব্য প্রাথমিক মনোনয়ন না পেয়েও তিনি আমাদের সহিংসতা করতে নিষেধ করেছেন। আমরা দলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে চাই না। আওয়ামী লীগ নেত্রকোনা-২ আসনকে দ্বিতীয় গোপালগঞ্জ উপাধি দিয়েছিল। এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী ছাড়া এই আসনে জয়ী হওয়া কঠিন। তাই আমাদের প্রাণের দাবি, তৃণমূলকে বাঁচাতে চূড়ান্ত মনোনয়ন যেন এটিএম আব্দুল বারী ড্যানীকেই দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে
এ সময় গণমিছিলে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জিএস মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজ ছাত্রদল ও বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার সরকার শ্যামল, বারহাট্টা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির নয়ন, বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান জামাল, বারহাট্টা উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদউদ্দিন খান, জেলা উলামা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, বারহাট্টা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম শেখ, বারহাট্টা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান চন্দন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল হক রঞ্জু, বারহাট্টা সরকারি কলেজ ছাত্রদল আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদস্য সচিব তানভীর হাসান মুন্নাসহ কয়েক সহস্রাধিক সাধারণ জনতা গণমিছিলে অংশগ্রহণ করেন।





