কোনো তদবির নয়- কাজের স্বীকৃতিতেই মনোনয়ন পেয়েছি: কুলাউড়ায় ধানের শীষের প্রার্থী শকু
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ শওকতুল ইসলাম শকু বলেছেন, "আমার দরজা সবসময় আপনাদের জন্য খোলা থাকবে। আপনাদের সমস্যা দ্রুত সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।"
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে কুলাউড়ায় তার আগমন উপলক্ষে বিশাল পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রথমবারের মতো তিনি কুলাউড়ায় আসলে ডাকবাংলো মাঠে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ফুল দিয়ে তাকে বরণ করে নেন।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে পার্কিং করা যাত্রীবাহী বাসে রহস্যজনক আগুন
বক্তব্যে শওকতুল ইসলাম শকু বলেন, "তারেক রহমান দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। তিনি জানেন কে মাঠে কাজ করেছে। সেই বিশ্বাস, ত্যাগ ও কর্মের মূল্যায়ন হিসেবেই আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কোনো তদবির বা সম্পর্ক নয়- কাজের স্বীকৃতিতেই মনোনয়ন পেয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "তারেক রহমান বা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ যেতে পারবে না। দলের বাইরে গেলে সে নিজেই ছিটকে যাবে। যারা ফেসবুকে নেতিবাচক লেখালেখি করছে, তারা বিএনপির নয়- তারা জামায়াতের লোক।"
আরও পড়ুন: খুলনা ১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী জামায়াতের প্রার্থী হতে পারে
শকু বলেন, "১/১১-এর পর এম এম শাহীন ও মোফাজ্জল করিম দল ছেড়ে গেলে আমি দলকে টিকিয়ে রেখেছিলাম। তারই ফলস্বরূপ আজ দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে। আমি বিশ্বাস করি, আবেদ রাজা ভাইকেও দল অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। আমরা কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় চাই না, আমরা চাই প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন। প্রতিহিংসা নয়, আমরা চাই পরিবর্তন। রাজা ভাই ও আমি প্রতিজ্ঞা করেছি- ঐক্যবদ্ধ থেকে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করবো।"
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে শকু বলেন, "বহুদিনের দাবি বাইপাস সড়ক বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ। কুলাউড়ায় একটি স্টেডিয়াম, টেকনিক্যাল কলেজ, উন্নত শিক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা, কর্মসংস্থানের সুযোগ ও বিদ্যুৎ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করবো।"
উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল আবেদীন বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, শকুর আগমন উপলক্ষে সকাল থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক সহস্রাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। ডাকবাংলো মাঠে পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়।





