খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গোপালগঞ্জে দোয়া মাহফিল

Sanchoy Biswas
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:০০ অপরাহ্ন, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও আশু রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) বাদ আসর পোনা মারকাজুল উলুম মাদরাসায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সরদার নুরুজ্জামানের উদ্যোগে এ মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়।

দোয়া মাহফিলে অংশ নেন অত্র মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মী, পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষ। শুরু থেকেই পুরো পরিবেশ ছিল আধ্যাত্মিক আবহে পরিপূর্ণ।

আরও পড়ুন: অমানবিক পুশইনের শিকার অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলো বিজিবি

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সরদার নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক। তাঁর সুস্থতা আজ শুধু দলের নয়, পুরো জাতির প্রত্যাশা। আমরা তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায় আজ দোয়া করেছি। দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রমনা মানুষ আজ খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন। আল্লাহ যেন তাঁকে সুস্থ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজে ফিরতে তৌফিক দেন।”

মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে সুস্থতা কামনা করেন। এক শিক্ষক বলেন, “বেগম জিয়া বহুবার দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁকে সুস্থতা ও ধৈর্য দান করুন—এটাই আমাদের প্রার্থনা।”

আরও পড়ুন: জামালপুরের আলোচিত মনিরুল হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার

বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা সরদার নুরুজ্জামানের সঙ্গে মিলাদে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে এলাকাবাসীরও ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা যায়। অনেকেই দোয়া শেষে নুরুজ্জামানের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। বিশেষ মোনাজাতে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। মিলাদ শেষে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি, দেশের শান্তি, সুশাসন ও মানুষের নিরাপত্তা কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস। মোনাজাতের সময় অনেক নেতা–কর্মী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

দোয়া মাহফিল শেষে মাদরাসার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকায় একটি ইতিবাচক ধর্মীয় ও মানবিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।