চুয়াডাঙ্গায় ১২ ডিগ্রি তাপমাত্রাতে কর্মব্যস্ত ইটভাটার শ্রমিকরা

Sadek Ali
সনজিত কর্মকার, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১২:৩৬ অপরাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১২:৩৬ অপরাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ভৌগলিক কারণে চুয়াডাঙ্গায় বরাবরই শীতের সময় বেশি শীত এবং গরমের সময় বেশি গরম অনুভূত হয়। বৃহম্পতিবার জেলায় সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সেইসাথে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। তাপমাত্রা কমের প্রভাবে চুয়াডাঙ্গায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

এদিকে, ঘন কুয়াশা আর প্রচন্ড-শীতে নাজেহাল এ জেলার মানুষ। নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়াটা বেশ কষ্টের। এমন শীতের মধ্যেও ভোর থেকে অনায়াসে মাটি আর পানি দিয়ে ইটভাটায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শত শত শ্রমিক। 

আরও পড়ুন: রাজশাহীতে গভীর গর্তে নিখোঁজ শিশুর উদ্ধারকাজ নিয়ে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুয়াশার মধ্যে স্তুূপ থেকে মাটি নিচ্ছেন বেশ কিছু শ্রমিক। সেখান থেকে মাটি ট্রলিতে করে মিশ্রন মেশিনে দিয়ে ইট তৈরী উপযোগি করে ইট বানানোর লাইনে দিচ্ছেন কেউ কেউ। সেই মিশ্রন মাটি দিয়ে ইট বানিয়ে যাচ্ছেন আরও কিছু শ্রমিক। এভাবেই শীতের সকালে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে ইটভাটা শ্রমিকদের।

শ্রমিকেরা জানান, প্রতিদিন ভোর ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কাজ করতে হয় ইটভাটায়। তবে, বৃহস্পতিবার হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় প্রচন্ড শীত আর কুয়াশার কারণে একটু দেরিতেই কাজ শুরু করতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাজিদকে উদ্ধারে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চলছে

ইটভাটা শ্রমিক মনোয়ার হোসেন জানান, ইট তৈরি করার জন্য শ্রমিক হিসেবে কাজ করছি, শীত হোক, আর যাই হোক! আমাদের সকলেরই ভোরে উঠতে হয়। না হলে হাজরে হবে না। তবে, শীত ও কুয়াশার দিনে একটু দেরিতে কাজ শুরু করি। আর কাজ শুরু করলে কাজের ব্যস্ততায় শীত-কুয়াশার কথা মনেই থাকে না। 

শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা অন্যদিনে অন্তত ১৬ হাজার ইট তৈরি করি। কিন্তু এ শীতের দিনে ১০ হাজারের বেশি করতে পারছি না। এতে আমাদের হাজিরা কম হচ্ছে। 

মহিলা শ্রমিক মরিয়ম বেগম জানান, আমরা ভোর থেকেই মাটির স্তুূপ থেকে মাটি কেটে ট্রলিতে ভরে মেশিনে দেয়া শুরু করি। শুরুতে শরীরে শীতবস্ত্র থাকলেও পরে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে খুলে রাখি। কাজ শুরু করার সময় কিছুটা শীত লাগলেও কাজ শুরুর পরে শীত পালিয়ে যায়।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬ ও ৯ টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। 

তিনি আরও জানান, উত্তরের দিক থেকে ঝিরঝির করে হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।