৪২ ফুট গভীরেও মিলল না শিশু সাজিদের খোঁজ, গর্ত আরও ১০ ফুট খননের সিদ্ধান্ত

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:০৯ অপরাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:০৯ অপরাহ্ন, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহীর তানোর উপজেলার কয়েলের হাট মধ্যপাড়া এলাকায় দুই বছরের শিশু সাজিদকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গর্তে পড়ে যাওয়ার পর থেকে টানা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজ চললেও ৪২ ফুট গভীরে নেমেও শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাই নতুন করে আরও ১০ ফুট গভীর পর্যন্ত খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চলমান অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, গর্তটির গভীরতা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এত গভীর গর্তে যেকোনো স্থানে শিশু আটকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বের কোথাও এত গভীর নলকূপ-জাতীয় গর্ত থেকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করার প্রযুক্তি নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: গর্তে নিখোঁজ শিশু সাজিদকে উদ্ধার

তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শিশুটির গর্তের সমান্তরালে আরেকটি গর্ত খনন করা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতেও এত গভীরে পৌঁছাতে ৭৫ থেকে ৭৮ ঘণ্টা লেগে যায়।

এর আগে প্রথম পর্যায়ে ৩৫ ফুট পর্যন্ত ক্যামেরা নামালেও কিছু দেখা যায়নি। পরে ৪৫ ফুট পর্যন্ত ক্যামেরা নামানো সম্ভব হলেও শিশুটির কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বুধবার দুপুরে শিশুটির কান্নার শব্দ শোনা গেলেও গর্তের ভেতরে মাটি ও খড় পড়ে থাকায় শিশুটিকে দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: কাপাসিয়ায় উপজেলা ব্যাপী ধানের শীষ প্রতীকের বিশাল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

শিশুটির মা রুনা খাতুন বলেন, দুপুরে তিনি দুই সন্তানকে নিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ পেছন থেকে ‘মা’ বলে ডাক শুনে ফিরে তাকিয়ে দেখেন, সাজিদ গর্তে পড়ে গেছে। খড় দিয়ে ঢাকা থাকায় গর্তটি তারা বুঝতে পারেননি। মুহূর্তেই শিশুটি নিচে নেমে যায়।

স্থানীয়রা জানান, এক বছর আগে মাঠে সেচের জন্য মালিক কছির উদ্দিন একটি সেমি-ডিপ নলকূপ খনন করেছিলেন। কিন্তু পানি না মেলায় কাজটি অসম্পূর্ণ রেখে দেওয়া হয়। খোলা অবস্থায় পড়ে থাকা ওই গর্তই আজ এমন দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধার তৎপরতা এখনো পুরো গতিতে চলছে, তবে শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়ার সম্ভাবনায় সবাই অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।