সেপ্টেম্বরে বিজিবির অভিযানে ১৭১ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত সেপ্টেম্বর (২০২৫) মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৭১ কোটি ৬০ লাখ ৫১ হাজার টাকার চোরাচালান পণ্য ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। বিজিবির জনসংযোগ দপ্তর থেকে জানানো হয়, দেশব্যাপী পরিচালিত অভিযানে স্বর্ণ, রূপা, পোশাক, কসমেটিকস, গবাদিপশু, যানবাহন, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদকসহ বিপুল পরিমাণ চোরাচালান দ্রব্য জব্দ করা হয়।
বিজিবির তথ্যমতে, সেপ্টেম্বর মাসে জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে, স্বর্ণ: ৬ কেজি ৩৫৬ গ্রাম, রূপা: ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম, শাড়ি: ৯,২৪৮টি,থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল: ১৩,৫৫৮টি, তৈরি পোশাক: ১১,৪৬১টি, থান কাপড়: ১,২৮৬ মিটার, কসমেটিকস সামগ্রী: ৩,৯১,৭৯৩টি,ইমিটেশন গহনা: ২,৯৫২ পিস, আতশবাজি: ১৩,৬১,২৭৬টি, কাঠ: ৪,২০২ ঘনফুট, চা পাতা: ২,০৩৫ কেজি, সুপারি: ১১,৩৭৭ কেজি, কয়লা: ৮১,৭৮০ কেজি, পাথর: ৭৩৫ ঘনফুট, বালু: ৪,৬৩০ ঘনফুট, জাল (সুতা/দুয়ারি/কারেন্ট): ৬,৩৪৯ কেজি, মোবাইল: ৩৭৯টি, মোবাইল ডিসপ্লে: ৩,৪৪৩টি, চশমা: ৩৫,০৬২টি, যানবাহনের যন্ত্রাংশ: ১৭,২৬৯ পিস, গরু-মহিষ: ১,৫২৫টি
আরও পড়ুন: মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ে অনিয়ম, হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
বিভিন্ন যানবাহন (ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, প্রাইভেটকার ইত্যাদি): ১০০টির বেশি
বিজিবি জানায়, অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে, ২টি দেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ১০০ রাউন্ড গুলি, ৩টি অন্যান্য অস্ত্র
আরও পড়ুন: আন্তঃবাহিনী অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা-২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন
গত মাসে বিজিবির অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে, ইয়াবা ট্যাবলেট: ২০,৮৭,১৪৩ পিস, হেরোইন: ৪ কেজি ৬৬৩ গ্রাম, ফেনসিডিল: ৪,৪৯১ বোতল, বিদেশি মদ: ১২,১১৩ বোতল, বাংলা মদ: ৩৮৪ লিটার,বিয়ার: ১,১০৮ ক্যান,গাঁজা: ১,২৯৮ কেজি, বিড়ি ও সিগারেট: ২,২৪,৮১১ প্যাকেট, তামাক পাতা: ১০ কেজি, নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ও ইনজেকশন: ৫৭,৭৪৫টি, ইস্কাফ সিরাপ: ৪,৩৮৪ বোতল
এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট: ১২,২৪৯টি, বিভিন্ন ওষুধ ও ট্যাবলেট: ৭,৫৪,২৫৮ পিস
বিজিবির অভিযানে ১৯৮ জন চোরাচালানী, ১,১৯৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক, এবং ৯ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ৮০৫ জন মিয়ানমার নাগরিককে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় আটক করে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বিজিবি জানায়, সীমান্তে মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আধুনিক প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের সহায়তায় সীমান্ত অঞ্চলে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।