বিশেষ নজরদারিতে প্রভাবশালীর সন্তান ও সংগীতশিল্পীরা

Shakil
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৯:১২ পূর্বাহ্ন, ১১ মে ২০২৩ | আপডেট: ৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, ১১ মে ২০২৩
ফাইল ফটো
ফাইল ফটো

মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিশেষ নজরদারিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং প্রভাবশালী কয়েকটি পরিবারের সন্তানরা। যারা প্রত্যেকেই সংগীতশিল্পী ও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও রয়েছেন মাইনুল আহসান নোবেলসহ বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পী। তাদের ব্যাপারে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আমরা চাই অভিনয়ের সঙ্গে থাকা মানুষ ও সংগীতশিল্পীরা যেন নিজেদের পেশার অমর্যাদা করে মাদকে জড়িয়ে না পড়েন। বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। বিষয়গুলো অধিদপ্তর খতিয়ে দেখছে। তদন্তের স্বার্থে এ মূহুর্তে কারোর নাম বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: হাদি হত্যার আসামীদের সহায়তার অভিযোগে ভারতে আটক ৫

সম্প্রতি ‘সারেগামাপা’ খ্যাত সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন এবং পরে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সামাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। সংগীতশিল্পী নোবেলের মাদক সংশ্লিষ্টতা ও জীবনযাপনের ব্যাপারে অনেকেই অনেক ধরনের বক্তব্য দেন। তার পরিবার থেকেও নেতিবাচক তথ্য এসেছে। এরইমধ্যে নোবেলের নিয়মিত মাদক সেবনের বিষয় নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আলোচনা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নোবেলের বিরুদ্ধে মাদক সংক্রান্ত যেসব তথ্য প্রমাণ আমাদের কাছে আছে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এসব বিষয় অবহিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা পেলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।’

আরও পড়ুন: ওসমান হাদি হত্যায় বাইক চালক আলমগীরের সহযোগী গ্রেপ্তার

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, ‘রাজনৈতিক নেতাদের পরিবারের সদস্য, অভিনয়শিল্পী ও সংগীতশিল্পী পরিবারের সন্তান, খেলোয়াড়দের পরিবারের সদস্য ও সন্তান, গোয়েন্দা কর্মকর্তার পরিবারের সদস্য ও সন্তানদের বিষয়ে তথ্য প্রমাণ রয়েছে। বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করছে।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অপারেশন্স ও গোয়েন্দা শাখার পরিচালক তানভীর মমতাজ বলেন, ‘অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাই এখন কারও নাম বলবো না। যাদের বিরুদ্ধে মাদকের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে, তারা নজরদারিতে রয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’