পৌনে ৪ লাখ প্রাথমিকের শিক্ষক কর্মবিরতিতে

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, ০৫ মে ২০২৫ | আপডেট: ৫:২১ পূর্বাহ্ন, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৪ লাখ সহকারী ও প্রধান শিক্ষক বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবিতে দেশব্যাপী কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ডাকে সোমবার (৫ মে) থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচির আওতায় শিক্ষকরা প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করছেন।

শিক্ষকদের দাবি, সহকারী শিক্ষকদের বর্তমান ১৩তম গ্রেড থেকে উন্নীত করে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করতে হবে। পাশাপাশি চাকরিতে ১০ ও ১৬ বছর পূর্ণ হলে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা দূরকরণ এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন: চাকসুতে পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জাবেদ

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, এই কর্মসূচি ধাপে ধাপে আরও বিস্তৃত হবে। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে। এরপরও দাবি পূরণ না হলে, ২৬ মে থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা।

‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর অন্যতম নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, "সরকার আমাদের দাবি মানেনি। তাই বাধ্য হয়ে আজ থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতি শুরু করেছি। সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: জুলাই পরবর্তী ছাত্ররাজনীতির মডেল ছাত্রশিবির : সাদিক কায়েম

এদিকে সরকারের গঠিত পরামর্শক কমিটি সহকারী শিক্ষকদের জন্য প্রাথমিকভাবে ১২তম গ্রেড এবং চার বছর পর ১১তম গ্রেড প্রদানের সুপারিশ করেছে। তবে শিক্ষকরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, "বর্তমান কাঠামো অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকরা ১২তম গ্রেডে নিয়োগ পাবেন এবং চার বছর পর ১১তম গ্রেডে পদোন্নতি পাবেন। আমরা পরামর্শক কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।"

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৪ লাখ শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। প্রধান শিক্ষকরা বর্তমানে ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার নির্দেশনা এসেছে। এরই প্রেক্ষিতে সহকারী শিক্ষকরাও নিজেদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।