রাত পোহালেই ডাকসু: ভোট দেবেন যেভাবে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া আরও সহজ ও স্বচ্ছ করতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে চলবে ভোটগ্রহণ।
প্রথমবারের মতো দ্রুত ফল ঘোষণা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হবে ওএমআর ব্যালট ফরম। প্রশাসনের ধারণা, ভোট শেষ হওয়ার সর্বোচ্চ ৬ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল প্রকাশ সম্ভব হবে। এরই মধ্যে একাধিক প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে এবার সাইবার হামলা!
ভোট দেওয়ার নিয়মাবলি:
*ভোট দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের বৈধ পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাবি ক্যাম্পাসে তিন দিনের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
*প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা পে-ইন স্লিপ বা লাইব্রেরি কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন।
*অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য হল কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় আইডি বা লাইব্রেরি কার্ড বাধ্যতামূলক।
*পরিচয় নিশ্চিতের পর বুথে প্রবেশের আগে ভোটার তালিকায় স্বাক্ষর এবং আঙুলে স্থায়ী কালি লাগাতে হবে।
*ভোটাররা গোপন বুথে গিয়ে প্রার্থীর নামের পাশে ‘ক্রস (×)’ চিহ্ন দেবেন। ‘টিক (✓)’ চিহ্ন দিলে ভোট বাতিল হবে।
*ডাকসুর ব্যালট আলাদা বাক্সে এবং হল সংসদের ব্যালট আলাদা বাক্সে ফেলতে হবে; ব্যালট ভাঁজ করা যাবে না।
*বুথে কোনো ধরনের মোবাইল বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পানির বোতল বা অন্য কোন তরল পদার্থ নিয়েও ঢোকা যাবে না বুথে।
ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করতে শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে একটি স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষক প্যানেল। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ করা হয়েছে ভোটারদের সচেতন ও উৎসাহিত করার জন্য। অধিকাংশই নতুন ভোটার হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে তারা বিশেষ উদ্যোগ নেবেন।
নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী, বিশেষ করে নারী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অনলাইনে সাইবার বুলিং ও অপপ্রচার বেড়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে প্রশাসন। নির্বাচনী আচরণবিধি টাস্কফোর্স ও সাইবার নিয়ন্ত্রণ সেল জানিয়েছে, এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপও গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্পষ্ট করেছে, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে কোনো ধরনের অপপ্রচার বা হয়রানির সুযোগ দেওয়া হবে না।