ঢাবিতে হল ত্যাগের ঢল, প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভূমিকম্প–পরবর্তী পরিস্থিতি ঘিরে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় সকাল থেকেই বিভিন্ন আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের দৃশ্য দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় ব্যাগ–বাক্স হাতে নিয়ে অনেকে বন্ধুদের সঙ্গে বা পরিবারবর্গের সহায়তায় হল ছাড়ছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি হল পরিদর্শন করেছেন বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা
পরপর দুই দিনে চার দফা ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি বৈঠকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হলে না থাকার নির্দেশ দেয়। ঝুঁকি এড়াতে নেওয়া এই সিদ্ধান্তকে অনেকেই স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা হিসেবে দেখছেন।
আরও পড়ুন: দাবি আদায়ে শিক্ষকদের আল্টিমেটাম: আজ থেকে লাগাতার কর্মবিরতি
তবে সবার প্রতিক্রিয়া এক রকম নয়। কিছু শিক্ষার্থীর মতে, বিপদের মুহূর্তে সাময়িক হল ত্যাগ করা যৌক্তিক হলেও, এটি দীর্ঘদিন ধরে চলা আবাসন সংকটের মৌলিক সমাধান নয়। তাঁরা মনে করেন, যেকোনো দুর্যোগে বারবার একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার বদলে স্থায়ী ও নিরাপদ আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
এছাড়া টিউশন বা পার্ট টাইম জবের কারণে হল ছাড়া দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীর জন্য। এ বিষয়ে বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মশিউর রহমান বলেন, " গতকাল রাতে হঠাৎ করেই আমাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয় হল ছাড়ার। এদিকে আমার আমার স্টুডেন্ট এর বার্ষিক পরীক্ষা কিছুদিন পরেই, এ অবস্থায় আমার পক্ষে বাড়ি যাওয়া কোনভাবেই সম্ভব না। টিউশনির সাথে যুক্ত সকল শিক্ষার্থীই ভোগান্তির মুখে পড়ছে।"
এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল খালি করার ঘোষণার বিরুদ্ধে শনিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী। নিরাপদ আবাসনের নিশ্চিত ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের দ্রুত মেরামত এবং সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা—এই তিন দফা দাবি জানান তাঁরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন—ঢাবির দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট কি এভাবেই অনিরসন থেকে যাবে?





