৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনের খসড়া চূড়ান্ত

সারা দেশের ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন এনে নতুন খসড়া চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এই খসড়ার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে পারবেন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা। আপত্তি জানাবার সময়সীমা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, “৩৯টি আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ১০ আগস্ট পর্যন্ত এই খসড়ার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে পারবে।"
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহে
সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব পাওয়া আসনসমূহ:
পঞ্চগড়-১, ২; রংপুর-৩; সিরাজগঞ্জ-১, ২; সাতক্ষীরা-৩, ৪; শরীয়তপুর-২, ৩; ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪, ১৯; গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫, ৬; নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪, ৫; সিলেট-১, ৩; ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩; কুমিল্লা-১, ২, ১০, ১১; নোয়াখালী-১, ২, ৪, ৫; চট্টগ্রাম-৭, ৮ এবং বাগেরহাট-২, ৩।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে ৪৫ হাজার ৯৮ ভোটকেন্দ্র, দায়িত্বে থাকবেন ৯ লাখের বেশি কর্মকর্তা
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম আরও জানান, বাগেরহাট জেলায় ভোটার সংখ্যা কমে যাওয়ায় সেখানে সংসদীয় আসন কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, গাজীপুরে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি অতিরিক্ত আসন যুক্ত করার সুপারিশ করেছে সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি।
তিনি বলেন, “গাজীপুরে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রয়েছে। ফলে সেখানে একটি আসন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। আর বাগেরহাটে ভোটার কম থাকায় একটি আসন কমানোর বিষয়টি সুপারিশ করা হয়েছে।”
কমিশনার জানান, সংবিধানের ১১৯ থেকে ১২৪ ধারার আলোকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণ করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। এই সীমানা নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও ২০২২ সালের জনশুমারির তথ্য কাজে লাগানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “সীমানা পুনর্নির্ধারণ একটি কারিগরি ও গুরুত্ববহ কাজ। এ প্রক্রিয়ায় কমিশনের অভ্যন্তরীণ সুপারিশের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ দলের মতামতও গ্রহণ করা হয়েছে।”
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আপত্তি যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এরপরই এই সীমানা অনুযায়ী আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।