জন্মনিবন্ধন ছাড়াও টাইফয়েডের টিকা দেওয়া যাবে: ডিএনসিসি

জন্মনিবন্ধন ছাড়াও শিশুরা টাইফয়েডের টিকা নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহমুদা আলী।
বুধবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান-২ এ ডিএনসিসির নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৩ জন
মাহমুদা আলী জানান, টাইফয়েড প্রতিরোধে ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এতে প্রায় ১২ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে ২ হাজার ১৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী এবং কমিউনিটির ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ জন শিশুকে টিকা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ শতাধিক রোগী হাসপাতালে,চলতি বছরে মৃত্যু ২২৪
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, “৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের এই টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। সাধারণত সরকারের নির্ধারিত ভ্যাকসিন নিবন্ধন পোর্টালে নিবন্ধনের সময় জন্মনিবন্ধন নম্বর দিতে হয়। তবে অনেক শিশুর জন্মনিবন্ধন না থাকায় তারা যেন বঞ্চিত না হয়, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই, তাদের অভিভাবকরা সরাসরি নির্ধারিত টিকা কেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারবেন। সেখানে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহ করে টিকা কার্ড তৈরি করবেন, এরপর শিশুরা টিকা নিতে পারবে।”
ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা জানান, জন্মনিবন্ধন নম্বরসহ টিকা নেওয়া শিশুদের সার্টিফিকেট হবে হলুদ রঙের, আর জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টিকা নেওয়া শিশুদের সার্টিফিকেট হবে সবুজ রঙের।
টিকা প্রদানের সময় ও স্থান
১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে মোট ১০ দিন)।
১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর: স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে (শুক্রবার ও ছুটির দিন ছাড়া ১৮ দিন)।
১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর: স্যাটেলাইট বা আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে টিকাদান চলবে (শুক্রবার ও ছুটির দিন বাদে)।
প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলবে বলে জানান মাহমুদা আলী।