হামাসের সম্মতির পর গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি ইসরায়েল: ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের অংশ মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকা থেকে প্রথম ধাপে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, হামাস চূড়ান্ত সম্মতি দিলেই যুদ্ধবিরতি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাতে ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, হামাস শান্তি পরিকল্পনার মূল অংশে সম্মতি দিয়েছে। তাই ইসরায়েলও গাজা থেকে প্রাথমিক সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে। তবে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে সব চুক্তি বাতিল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন যে তিন জন
হোয়াইট হাউস গত সোমবার যে মানচিত্র প্রকাশ করেছিল, তাতে সেনা প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সীমারেখা দেখানো হয়। ইসরায়েল সেই সীমারেখার মধ্যেই প্রথম ধাপে সৈন্য সরানোর প্রস্তাবে রাজি হয়েছে।
বিবিসি ভেরিফাইয়ের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী গাজার প্রায় ৫৫ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
আরও পড়ুন: গাজায় আটক আরও ১৩ জিম্মিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দিল হামাস
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছেন, খুব শিগগিরই গাজায় আটক জিম্মিদের মুক্তির ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, হামাসের শাসনের দিন শেষ হয়ে এসেছে, এই অঞ্চল থেকে তাদের সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী এখনো গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা “অবরোধ ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধে অবিলম্বে উদ্যোগ নেয়।”
ট্রাম্পের নির্দেশনা সত্ত্বেও শনিবার একদিনেই গাজায় ৯৩টি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার মিশরে ইসরায়েল ও হামাসের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন ও বন্দিবিনিময় চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বৈঠকে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের উপদেষ্টা জারেড কুশনারও উপস্থিত থাকবেন।
সূত্র: বিবিসি