চীন তাইওয়ানে হামলা করতে চায় না: ট্রাম্প

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, ২১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:১৬ পূর্বাহ্ন, ২১ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, চীন তাইওয়ান আক্রমণ করতে চায় না এবং তিনি বিশ্বাস করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ‘দারুণ’। ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন সোমবার ( ২০ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে বৈঠকের সময়।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আরও পড়ুন: মুসলিম নারীদের নামাজ আদায়, গোমূত্র দিয়ে শুদ্ধিকরণ করেন বিজেপির এমপি

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয় আমরা চীনের সঙ্গে ভালোই থাকব। চীন এমন কিছু করতে চায় না।

তিনি আরও বলেন, তাইওয়ান হয়তো তার (শি জিনপিংয়ের) চোখের মণি, কিন্তু আমি মনে করি না কোনো বড় কিছু ঘটবে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েল গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে, যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে

যদিও ট্রাম্প সরাসরি বলেননি যে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান রক্ষায় সামরিক পদক্ষেপ নেবে কি না, তবে তিনি দাবি করেছেন, চীন জানে যে যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তি। আমাদের যা আছে, তা অন্য কারও নেই। কেউ সেটির সঙ্গে খেলবে না।

তিনি বলেন, তাইওয়ান এবং অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সম্পর্ক খুব ভালোভাবে এগোবে।

এই মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া-প্যাসিফিক সম্মেলনে ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ট্রাম্প বলেন, তার প্রধান লক্ষ্য একটি ন্যায্য বাণিজ্য চুক্তি করা। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি, সেই চুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন করবে কি না।

আমি চীনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে আমার সম্পর্ক দারুণ, বলেন ট্রাম্প।

মার্কিন আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করে, যদিও দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই ‘কৌশলগত অস্পষ্টতা’ বজায় রেখেছে — অর্থাৎ, চীন আক্রমণ করলে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিক হস্তক্ষেপ করবে কি না তা পরিষ্কার নয়।

পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কয়েকবার বলেছেন, চীন তাইওয়ানে হামলা করলে তিনি মার্কিন সেনা পাঠাবেন, যা ওয়াশিংটনের ঐতিহ্যগত নীতির বিপরীত ছিল।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা মূলত বাণিজ্য ও প্রযুক্তি ইস্যুতে কেন্দ্রীভূত, যদিও তাইওয়ান ইস্যু উভয় দেশের সম্পর্কের সবচেয়ে সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে রয়ে গেছে।