ক্ষতিগ্রস্ত পারমাণবিক স্থাপনা আরও উন্নতভাবে পুনর্নির্মাণের ঘোষণা ইরানের

Any Akter
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ বিমান হামলায় ধ্বংস হয়ে যাওয়া পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরও শক্তিশালীভাবে পুনর্নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইরান।

রোববার রাজধানী তেহরানে দেশটির পারমাণবিক সংস্থার কার্যালয় পরিদর্শনকালে প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান এই ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের পর্যাপ্ত পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, পৃথিবীকে ১৫০ বার দেয়া যাবে

পেজেশকিয়ান বলেন, কেবল ভবন ধ্বংস করলেই আমাদের অগ্রগতি থেমে যাবে না। আমাদের বিজ্ঞানীরা প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা এখনো ধরে রেখেছেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনাগুলো আমরা আরও উন্নত প্রযুক্তিতে পুনর্গঠন করবো।

এই বক্তব্যের ভিডিও ইরান প্রেসিডেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৬.৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

গত জুনে ইসরাইল ১২ দিনব্যাপী ইরানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায়, পরে এতে যুক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্র।

হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনা ছাড়াও আবাসিক এলাকা, যেখানে বহু শীর্ষ বিজ্ঞানী নিহত হন।

এর জবাবে ইরান ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে পাল্টা হামলা চালায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই যৌথ হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে। তবে এখনো প্রকৃত ক্ষতির মাত্রা পরিষ্কার নয়।

এদিকে, ওমান যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে পুনরায় আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে।

বাহরাইনে আয়োজিত আইআইএসএস মানামা ডায়ালগ সম্মেলনে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আলবুসাইদি বলেন, আমরা চাই, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সংলাপ আবার শুরু হোক।

ইরানের সরকারি মুখপাত্র ফাতেমে মোহাজারানি জানিয়েছেন, তেহরান কিছু কূটনৈতিক বার্তা পেয়েছে, যদিও বিস্তারিত জানাননি।

এ বছর ওমান পাঁচ দফা গোপন বৈঠকের আয়োজন করেছিল, তবে ষষ্ঠ দফার তিন দিন আগে ইসরাইলের হামলা পরিস্থিতি বদলে দেয়।

হামলার পর ইরান জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা ও পশ্চিমা চাপের মুখে পড়েছে।

যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থা চালু করে পুরনো নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে।

তবে ইরান জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক চাপ বা নিষেধাজ্ঞা আমাদের থামাতে পারবে না। ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থাপনাগুলো আগের চেয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তিতে পুনর্নির্মাণ করা হবে।