গাজায় ইসরায়েলি হামলা, নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ৬৯ হাজার

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, ০৯ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েলি হামলা ও সহিংসতা থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচে নতুন করে লাশ উদ্ধারের ঘটনা বাড়তে থাকায় নিহতের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একই সঙ্গে পশ্চিম তীরজুড়ে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলাও ক্রমে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। গত এক মাসে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সময়ও অন্তত ২৪০ ফিলিস্তিনিকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবি: শতাধিক নিখোঁজ, ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, উত্তর গাজায় ‘ইয়েলো লাইন’ নামে পরিচিত সীমারেখা অতিক্রমের চেষ্টা করায় এক ফিলিস্তিনিকে তারা গুলি করে হত্যা করেছে। একই ধরনের অভিযোগে দক্ষিণ গাজাতেও আরেক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে জানায় তারা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ—সীমারেখার কাছাকাছি গেলেই সাধারণ পরিবার ও বেসামরিক মানুষকেও লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে।

খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া একটি বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হলে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়, ঝুঁকিতে লাখো মানুষ

এ পরিস্থিতিতে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনীয় রোগীদের বিদেশে নেওয়ার জন্য রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং আবার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানায়, এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার রোগী চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন, তবে আরও ১৬ হাজার ৫০০ জন এখনো অপেক্ষায় আছেন।

অন্যদিকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা ও দখল প্রক্রিয়া আরও তীব্র হয়েছে। দক্ষিণ নাবলুসের বেইতা শহরে জলপাই সংগ্রহ করতে থাকা গ্রামবাসী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর বসতি স্থাপনকারীরা লাঠি ও পাথর নিয়ে হামলা চালায়। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত বেশ কয়েকজন আহত হন।

প্যালেস্টাইন জার্নালিস্টস সিন্ডিকেট জানিয়েছে, এই হামলা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত যুদ্ধাপরাধ।

জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিম তীরের ৭০টিরও বেশি শহর ও গ্রামে বসতি স্থাপনকারীরা অন্তত ১২৬টি হামলা চালিয়েছে এবং ৪ হাজারেরও বেশি জলপাই গাছ ধ্বংস করা হয়েছে।