সাবেক যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে খালাস দিলেন হাইকোর্ট

সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগের মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো. যাবিদ হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) জি কে শামীমের আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দেন। ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই জি কে শামীমকে ১০ বছরের সাজা দিয়েছিলেন ঢাকার একটি আদালত।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় ছয় আন্দোলনকারীকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ আগস্ট
ঢাকার বিশেষ আদালত-১০-এর বিচারক মো. নজরুল ইসলাম তখন রায়ে বলেছিলেন প্রসিকিউশন জি কে শামীম ও অন্যদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের এ ধরনের অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর একই আদালত এই মামলায় জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের 'গোপন বৈঠকে' অংশ: মেজর সাদিকুলের স্ত্রীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট চার্জশিট জমা দেয়।
অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সংগঠিত অর্থনৈতিক অপরাধ ইউনিটের অতিরিক্ত বিশেষ সুপার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সাঈদ অভিযোগপত্রে বলেন, শামীমের বিভিন্ন ব্যাংক, দুটি বাড়িতে ১৮০টি ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে ৩৩৭ দশমিক ৩ কোটি টাকা রয়েছে। রাজধানীতে ৪১ কোটি টাকা মূল্যের ৫২ কাঠা জমি আছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, শামীম সরকারি দপ্তরে টেন্ডারবাজি এবং বাস টার্মিনাল ও গরুর হাটে চাঁদাবাজির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করেছেন।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা শামীমকে চাঁদাবাজি ও টেন্ডার কারসাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করা হয় তার দেহরক্ষীদেরও। পরে শামীমের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় তিনটি মামলা করে র্যাব।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর অস্ত্র মামলায় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার আরেকটি ট্রাইব্যুনাল।