তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার আপিল চলছে

বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করবেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সালমান শাহর মৃত্যুর তিন দশক পর হত্যা মামলা দায়ের
এর আগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে প্রায় ১৪ বছর আগে আপিল বিভাগ রায় দিয়েছিল। সেই সময় আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। পরবর্তীতে আদালতের রায়ের পর তারা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধন এনে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাদ দেয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ওই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ আরও কয়েকজন নাগরিক। শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ আপিলের অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি শেখ হাসিনা
এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদার ছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচজন আপিল দাখিল করেন। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই মামলাটি ২১ অক্টোবরের কার্যতালিকার শীর্ষে শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর এই আপিলকে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘোরানো ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মামলাটির রায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।