অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস ছাড়তে ৫টি সহজ উপায়

বেশি খাবার খাওয়া কোনো সমস্যা নয়, তবে এটি অভ্যাসে পরিণত হলে শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস সাধারণত ক্ষুধার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়, বরং মানসিক চাপ, আবেগ এবং একঘেয়েমির সঙ্গে জড়িত থাকে। শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়ার ফলে অলসতা, পেট ফাঁপা ও অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। ঘন ঘন অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের স্বাভাবিক ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করে এবং দীর্ঘমেয়াদে ইনসুলিন প্রতিরোধ, লিভারের সমস্যা এমনকি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
আরও পড়ুন: শাহরুখ খানের ফিটনেসের রহস্য জানালেন বিশেষজ্ঞ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়েকটি সহজ অভ্যাস গ্রহণ করলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব—
আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব ডাক দিবস
১. বিরতি নিন এবং বুঝে খাওয়ার অভ্যাস করুন
জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপের মানুষ “হারা হাচি বু” নীতি মেনে চলে—অর্থাৎ ৮০% পেট ভরে গেলে খাওয়া বন্ধ করা। এই অভ্যাস সচেতন খাওয়া ও পরিমিতিবোধ শেখায়। খাবার শুরু করার আগে মাত্র ৩০ সেকেন্ডের বিরতি নিয়ে সত্যিই ক্ষুধার্ত কি না তা বোঝার চেষ্টা করলে অপ্রয়োজনীয় খাওয়া কমানো সম্ভব।
২. খাবারের আগে পানি পান করুন
গবেষণায় দেখা গেছে, খাবারের আগে ৫০০ মিলি পানি পান করলে কম ক্যালোরি গ্রহণ হয়। অনেক সময় শরীর ক্ষুধাকে তৃষ্ণার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। পানি পান শুধু ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণেই নয়, বরং শক্তি, বিপাকক্রিয়া ও হজমেও সহায়তা করে।
৩. ছোট প্লেট ও বাটি ব্যবহার করুন
প্লেটের আকার আমাদের খাবারের পরিমাণে প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, ছোট প্লেট ব্যবহার করলে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই কম খায় এবং দ্রুত তৃপ্তি অনুভব করে। এটি অতিরিক্ত খাওয়া প্রতিরোধে কার্যকর একটি কৌশল।
৪. ঘুম ঠিক করুন ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন
অতিরিক্ত খাওয়া অনেক সময় মানসিক চাপ বা ঘুমের অভাবের ফল। কর্টিসল হরমোন নিঃসরণের কারণে ক্ষুধা বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখলে “স্ট্রেস ইটিং” কমানো সম্ভব।
৫. অস্বাস্থ্যকর খাবার দৃষ্টির আড়ালে রাখুন
“চয়েস আর্কিটেকচার” ধারণা অনুযায়ী পরিবেশগত পরিবর্তন আচরণকে প্রভাবিত করে। তাই অস্বাস্থ্যকর ও অতিরিক্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার চোখের আড়ালে রাখলে বা না কিনলে খাওয়ার প্রবণতা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়।
নিয়মিত সচেতন খাওয়া, পানি পান, পর্যাপ্ত ঘুম এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকা—এই কয়েকটি সহজ অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস দূর করতে সহায়ক হতে পারে।